বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাকের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৭ সালের এই দিনে তিনি সবাইকে শোকসাগরে ভাসিয়ে অনন্তের পথে পাড়ি জমিয়েছিলেন।
১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি ভারতের দক্ষিণ কলকাতার একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রাজ্জাক। সেখানেই বেড়ে ওঠা। ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল সিনেমার নায়ক হওয়ার। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৫৯ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি ভারতের মুম্বাইয়ের ফিল্মালয়তে সিনেমার ওপর পড়াশোনা ও ডিপ্লোমা গ্রহণ করেন। এরপর কলকাতার দুটি চলচ্চিত্রে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেন।
এরই মধ্যে ১৯৬৪ সালে কলকাতায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগে। পরিবারসহ তিনি ঢাকায় চলে আসতে বাধ্য হন। ঢাকায় এসেও লেগে থাকেন তার স্বপ্ন নিয়ে। ষাটের দশকে নির্মাতা সালাউদ্দিনের ‘তেরো নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন’ সিনেমায় একটি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রবেশ করেন তিনি।
তবে নায়ক হিসেবে ‘বেহুলা’ সিনেমায় সুচন্দার বিপরীতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করেন রাজ্জাক। তারপর একের পর এক সিনেমায় তার অভিনয়ে মুগ্ধ হন এ দেশের দর্শক।
যে সিনেমাগুলোর কারণে নায়ক রাজ্জাক আজ অমর, সেগুলোর তালিকা দীর্ঘ। বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। সেসবের মধ্যে ‘পিচ ঢালা পথ’, ‘দর্পচূর্ণ’, ‘মধুমিলন’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘আনারকলি’, ‘মৌ-চোর’, ‘রাজা সাহেব’, ‘বড় ভালো লোক ছিল’, ‘রজনীগন্ধা’, ‘বদনাম’, ‘লাইলী মজনু’, ‘তালাক’, ‘অভিযান’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘বাবা কেন চাকর’ উল্লেখযোগ্য।প্রয়াণ দিবসে নায়করাজ রাজ্জাকের প্রতি রইলো অকৃত্রিম শ্রদ্ধা।