ভারতের আসাম রাজ্যের সঙ্গে সরাসরি সীমান্ত রয়েছে সিলেট জেলার জকিগঞ্জ, কানাইঘাট ও বিয়ানীবাজার উপজে’লার এবং মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার। এজন্য অন্যান্য উপজেলা এলাকার পাশাপাশি সীমান্ত এলাকা সুরক্ষিত রাখতে এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মৌলভীবাজারের বড়লেখা সীমান্তে স্বাভাবিক কার্যক্রমের পাশাপাশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বড়লেখা উপজেলার বিজিবির লাতু বিওপির আওতাধীন এলাকাগুলোতে সরেজমিনে ঘুরে বিজিবি সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে বিজিবির বিয়ানীবাজার ৫২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান বলেন, “২০১৮ সালে ভারতে এনআরসির খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকেই হেড কোয়ার্টার্সের নির্দেশে সতর্কাবস্থায় রয়েছে বিজিবি। শনিবার পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের পর স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বিজিবি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। তবে আসাম থেকে মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকতে চাইলে বা অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করলে তা প্রতিহত করার জন্য বিজিবি সীমান্তে নজর রাখছে।”
এদিকে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী নাগরিকদের ভীত না হয়ে সতর্ক থাকার পাশাপাশি সীমান্তের যেকোনো অংশ দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা হলে তা বিজিবিকে জানাতে বলা হয়েছে।
হাকালুকিডটনেট/কাওসার/২সেপ্টেম্বর