কোতয়ালী থানাধীন কোর্ট বিল্ডিং এর সামনে থেকে এক কেজি স্বর্ণ ছিনতাই; ৯২৮ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধারসহ চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিবি
রাজধানীর কোতোয়ালী থানাধীন কোর্ট বিল্ডিং এর সামনে থেকে এক কেজি স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৯২৮ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধারসহ ছিনতাইকারী চক্রের ছয় সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- বিধান চন্দ্র বিশ্বাস, সবুজ হাওলাদার, আল আমিন খান, তরিকুল ইসলাম, শফিকুল রহমান চুন্নু ও আজিম উদ্দিন। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত হতে ছিনতাই হওয়া ৯২৮ গ্রাম স্বর্ণ, বিভিন্ন মডেলের চারটি মোবাইল ফোন ও তিনটি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার (২৯ ও ৩০ জানুয়ারি ২০২৫) পটুয়াখালী জেলার বাউফল ও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করে ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগের ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ কোতয়ালী থানাধীন তাঁতি বাজারের জনৈক স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রদেশ বাবুর স্বর্ণের দোকান হতে তার কর্মচারি রাজীব দাস বিক্রিত এক কেজি স্বর্ণ সরবরাহ করার জন্য রওনা দেয়। রাজিব দাস রাত ০৯:৩০ ঘটিকায় বিজ্ঞ দায়রা আদালত ভবনের সামনে পৌঁছলে এক দল দুষ্কৃতকারী তার পথ রোধ করে তার কাছে থাকা স্বর্ণ ছিনতাই করে নিয়ে যায়। সে সময় ছিনতাইকারীদের আঘাতে রাজীব দাস আহত হয়। এ ঘটনায় গত ২৮ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ রাজীব দাস বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি. তারিখ ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগে হস্তান্তরিত হয়। মামলাটির তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জড়িত আসামিদের শনাক্ত করা হয়। গত ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতা বিধান বিশ্বাসকে লুণ্ঠিত ৫৮০ গ্রাম স্বর্ণসহ গ্রেফতার করা হয়। বিধান বিশ্বাসের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সবুজ সরকার, তরিকুল ইসলাম ও আজিম নামক অপর তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ৩৪৮ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে ডিবি জানায়, কালিপদ নামক এক ব্যক্তি স্বর্ণ সরবরাহ করার সংবাদটি মূল ছিনতাইকারী চক্রের নিকট প্রেরণ করে। পরবর্তীতে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যগণ ঘটনাস্থলে একত্রিত হয়ে রাজীব দাসকে আঘাত করে তার কাছে থাকা স্বর্ণ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ছয়জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।