রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে দুপুরে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে জামিনের আদেশ দেন। তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। পরে বিকেলে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড হেলাল আমীন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে জামিন স্থগিতের আবেদন করেন।
আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া।
চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে গত ২৫ অক্টোবর একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে ওই সমাবেশে গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক পরে বিএনপি থেকে বহিস্কৃত ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন।
রংপুরে একটি বড় সমাবেশ হয় ২২ নভেম্বর চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এর নেতৃত্বে। রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় গত ২৫ নভেম্বর তাকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
পরদিন জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসের জামিন আবেদনকে কেন্দ্র করে আদালতে হামলায় হত্যার শিকার হন আইনজীবী সাইফুল। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।