আবদুর রউফ, চৌদ্দগ্রাম।
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের রামপুর এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, দাঁড়ালো রামদা সহ সালাউদ্দিন খান (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী ।
গ্রেপ্তারকৃত সালাউদ্দিন খান কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতী কালিয়াতল (বিষ্ণুপুর) গ্রামের শাহজাহান খানের পুত্র।
রবিবার সন্ধ্যায় (৫ জানুয়ারি) সোমবার সকালে চৌদ্দগ্রাম ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের আওতাধীন ২৩ বীর চৌদ্দগ্রাম ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মাহিন তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
চৌদ্দগ্রাম সেনাবাহিনীর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার সন্ধ্যায় ফকিরবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সালাউদ্দিন খান নামে দুষ্কৃতিকারীকে গ্রেপ্তার করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কালিয়াতল রামপুর এলাকার অভিযান চালিয়ে তার বাড়ির পাশের দুইতলা ভবন, যা “লন্ডনের বাড়ি” নামে পরিচিত, থেকে একটি বন্দুক ও পাঁচটি ধারালো অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সালাউদ্দিন খান আরো জানান ওই ভবনটিতে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের সেল হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ভবনটি রিয়াজ হুসেইন কামালের মালিকানাধীন।
সেনাবাহিনী আরো জানান, সালাউদ্দিন খানসহ স্থানীয় সন্ত্রাসীরা কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষকে জোরপূর্বক ধরে এনে টর্চার সেলে অমানবিক নির্যাতন চালাতো। টর্চার সেলে অস্ত্র মজুত রাখা ও নির্যাতনের অভিযোগটি আগেই আমরা পেয়েছি। পরে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়।
রোববার রাতে উপজেলার ফকির বাজারে রিয়াজ হুসাইন কামালের ‘লন্ডন বাড়ি’র টর্চার সেলে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী। এ সময় অস্ত্রসহ মূল হোতা সালাউদ্দিনকে আটক করা হয়। তবে সালাউদ্দিনের সহযোগীরা সেনাবাহিনীর অবস্থান টের পেয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ধৃত সালাউদ্দিন খান স্বীকারোক্তি দিয়েছে। মানুষকে টার্গেট করে টর্চার সেলে এনে জিম্মি করতো তারা। নির্যাতন চালিয়ে আদায় করতো অর্থ এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তার নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী চক্র এই নির্যাতন কক্ষ পরিচালনা করত।
মেজর মাহিন আরও জানান, সশস্ত্র অপরাধীদের মূলোৎপাটনের লক্ষ্যে এ অভিযান পরিচালিত হয় এবং এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেপ্তারকৃত সালাউদ্দিন খানের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অভিযান চলছে।