দেশব্যাপী জামাত-বিএনপির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আজ ৩রা আগস্ট শনিবার সকাল ১১টায় মোহাম্মদপুরস্থ কলেজগেট মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সেনা প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারুন অর রশীদ, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী বীর প্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান টিপু, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের সভাপতি হুমায়ুন কবিরসহ যুদ্ধাহত, শহীদ ও খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ।
সমাবেশের বক্তব্যে সাবেক সেনা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারুন অর রশীদ বলেন, “স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে আমরা যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামাতের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিলাম। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলেও জামায়াতকে দীর্ঘদিন নিষিদ্ধ করা হয়নি। সম্প্রতি নিষিদ্ধ হওয়া জামাত-শিবির সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা আবার সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য শুরু করেছে। নিজেদেরকে প্রকাশ্য রাজাকার দাবি করে শ্লোগান দিচ্ছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা এখনো বেঁচে আছি। রাজাকারদেরকে এবার সমুচিত জবাব দেয়া হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে আছে। একাত্তরে গণহত্যা ও গণধর্ষণে জড়িত জামায়াত বিগত ২০০১ সালে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর ছয় শতাধিক সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যকে হত্যা করেছিল। আহত হয়েছিল ৩০ হাজারেরও বেশি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ, ১২ হাজার মানুষ পঙ্গুত্ববরণ করেছিল। জামাত-শিবিরের সংঘবদ্ধভাবে হামলা, নির্যাতন, লুটতরাজে নিঃস্ব হয়েছিল লক্ষাধিক হিন্দু পরিবার। আবার এরা সন্ত্রাস ও নাশকতা শুরু করেছে। আর নয় প্রতিবাদ। বীর মুক্তিযোদ্ধারা এবার এদেরকে কঠোরভাবে প্রতিরোধ করবে। সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী অপশক্তি জামাত-শিবিরের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জামাত-শিবিরকে প্রতিহত করতে হবে।”
বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন পাহাড়ি বীর প্রতীক বলেন, “দেশবাসীর বিবেকের নিকট প্রশ্ন- জামাত-শিবির কি সত্যিই ইসলামের চর্চা করে? এরা প্রকৃতপক্ষে আবু জেহেলের অনুসারী অভিশপ্ত গোষ্ঠী। কারণ সাম্প্রদায়িক অপশক্তি জামাত-শিবির ইসলাম ধর্মের লেবাশ লাগিয়ে প্রতিনিয়ত ইসলাম পরিপন্থী কর্মকাণ্ড সংঘটিত করে যাচ্ছে। এদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত বাহাত্তরের সংবিধান অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনা শুরু করেছিলেন। একাত্তরে পরাজিত পাকিস্তানি অপশক্তি স্বাধীনতা বিরোধীরা পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাহাত্তরের সংবিধানকে কেটে ছিঁড়ে ধ্বংস করে আবার বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিলো। কোন নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষ একা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেনি। একাত্তরে সকল ধর্মের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। সকল ধর্মের মানুষের সমান সুযোগ নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। ধর্মনিরপেক্ষ মানে ধর্মহীনতা নয়, সকল ধর্মের সমান সুযোগ নিশ্চিত করা। রাষ্ট্র ও ধর্ম দুটি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। ধর্মকে রাজনীতিতে নিয়ে আসলে সেই ধর্ম কলুষিত হয়। ধর্মকে পুঁজি করে ধর্ম ব্যবসায়ী জামাত-শিবির ইসলাম ধর্মকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। ভারত, আমেরিকা, ব্রিটেন, ইউরোপিয়ান রাষ্ট্রগুলোর সংবিধানে কোথাও রাষ্ট্র ধর্ম উল্লেখ নেই। এমনকি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ইন্দোনেশিয়াতেও রাষ্ট্র ধর্মের কথা উল্লেখ নেই। তাদের সংবিধানেও ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটি রয়েছে। রাষ্ট্র সকলকে সমান চোখে দেখবে। এটাই ইসলাম শিক্ষা দেয়। রাষ্ট্র কোন নির্দিষ্ট ধর্মকে প্রাধান্য দিয়ে অন্য ধর্মের মানুষদের খাটো করার অধিকার রাখে না। ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনী জিয়া অত্যন্ত সুকৌশলে সংবিধানে সাম্প্রদায়িক বিষ ঢুকিয়ে মানুষের মগজ ধোলাই করে দিয়েছিল। যার ফলাফল এখনো বাংলাদেশকে ভুগতে হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর বাহাত্তরের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালিত হলে বাংলাদেশ অনেক আগেই সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে পরিণত হতো।”
বীর মুক্তিযোদ্ধা সালাউদ্দিন টিপু বলেন,
“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রণীত বাহাত্তরের সংবিধানের বিরোধিতা কারী জামাত-শিবিরীা দেশ ও জাতির শত্রু। অবৈধ সামরিক শাসক খুনি জিয়া কর্তৃক অবৈধভাবে সংশোধিত সংবিধানের পক্ষে যারা কথা বলে তারা প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের দোসর। এদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। একাত্তর সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা ও গণধর্ষণ জড়িত জামাত-শিবিরকে সমূলে উৎপাটন করতে হবে। অন্যথায় দেশব্যাপী কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে। এরপর নিষিদ্ধ জামাত-শিবির নামে বেনামে যেখানেই কর্মসূচী দিবে সেখানেই পাল্টা কর্মসূচী দিয়ে প্রতিহত করবে মুক্তিযোদ্ধারা।”
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, “একাত্তরে গণহত্যা, গণধর্ষণ, মানবাধিকার লঙ্ঘন, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের অপরাধে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জামাত-শিবিরের রাজনীতি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। সম্প্রতি কোটা আন্দোলনের নামে দেশব্যাপী বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুদক্ষ, বিচক্ষণ ও সাহসী নেতৃত্বের কারণে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র আবার ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা কখনোই এদেশের জনগণ মেনে নিবে না। এদেশের জনগণ বঙ্গবন্ধু কন্যার পাশে রয়েছে। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। কোন অপশক্তি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে আর থামাতে পারবে না। দেশের উনয়ন ও অগ্রযাত্রাকে সহ্য করতে না পেরে বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের ন্যায় আবার স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাত ঢাকার বাহিরে থেকে কয়েক লক্ষ প্রশিক্ষিত শিবির-ছাত্রদলের সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে পরিকল্পিত ভাবে হামলা ও আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে নিরীহ মানুষদেরকে হত্যা করে বাংলাদেশকে ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করেছে। রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে বিএনপি-জামাত আবার কোটা আন্দোলনকে পুঁজি করে শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও পুলিশের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করেছে। হামলাকারী শিবির-ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদেরকে বিশেষ ট্রাইবুনালে বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। দেশে-বিদেশে বসে যারা গুজব সন্ত্রাস করছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। দেশব্যাপী সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপরাধে ঠাকুরগাঁওয়ের কুখ্যাত চখা রাজাকারের পুত্র মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি-জামাতের সকল সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। দেশপ্রেমিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাংবাদিক ও জনগণের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে হত্যা ও নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে বোমা ও ককটেল মজুদ করে বিএনপি প্রমাণ করেছে তারা একটি সন্ত্রাসী দল। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে বিএনপির রাজনীতিও আইন করে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে মেনে এদেশে সকল রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাত এখনও পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নিতে পারেনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করার শামিল। যারা বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধকে মানবে না, তারা প্রকৃতপক্ষে দেশ ও জাতির শত্রু। এরা একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি পাকিস্তানের পেত্মাত্মা ও রাজাকার-আলবদরদের দোসর। বাংলাদেশে এদের রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। পেট্রল বোমায় ঝলসানো বাংলাদেশ, বাতাসে মানুষ পোড়া গন্ধ, মানুষ হত্যার বীভৎস উৎসব বাংলার মানুষ আর দেখতে চায় না। স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার, আলবদর-আলশামসদের সন্ত্রাসী দল জামায়াত শিবিরের রাজনীতি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে এদেশের জনগণ স্বাগত জানিয়েছে। স্বাধীন দেশের পবিত্র মাটি ৩০ লাখ শহীদের রক্তে সিক্ত। স্বাধীনতার দুশমন উগ্র সাম্পদায়িক জঙ্গিবাদী সংগঠন জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি পাকিস্তানের দোসর জামায়াত-শিবিরের একমাত্র উদ্দেশ্য ধর্মকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়া ও বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ভূলুণ্ঠিত করা। সরকারের নিকট দাবি, নিষিদ্ধ জামাত-শিবিরের সকল জঙ্গিবাদী অর্থের উৎস বন্ধ করতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি রাজাকার-আলবদর-আলশামসদের তালিকা তৈরী করে এদের সন্তান ও বংশধরদের নাগরিকত্ব বাতিলসহ সকল সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে হবে। জামাত সবসময় মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। একাত্তরে ৩০ লক্ষ মানুষকে গণহত্যা ও ২ লক্ষ নারীকে গণধর্ষণের অপরাধ স্বীকার করে এরা আজও পর্যন্ত জনগণের নিকট ক্ষমা চায়নি। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি নিষিদ্ধ জামায়াত-শিবিরকে নামে-বেনামে রাজনীতি করার চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।”
আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন, “বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা-এই চার মূলনীতির ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। বাহাত্তরের সংবিধানের ১ম অনুচ্ছেদে এই রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি ছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অবৈধ সামরিক শাসক জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রতিষ্ঠিত সংবিধান কেটে ছিঁড়ে ধ্বংস করে দিয়েছিল। ধর্ম ব্যবসায়ী জামাত-শিবিরের বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র আবার শুরু হয়েছে। এদেরকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। কারণ জামাত-শিবির সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রকৃত শত্রু। এরা সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। এখন দেশের মানুষ অনেক সচেতন। ধর্ম ব্যবসায়ী জামাত-শিবিরের প্রকৃত চরিত্র ধীরে ধীরে উন্মোচিত হচ্ছে। সামনে আরোও হবে। ইসলাম শান্তির ধর্ম। সেই ইসলাম ধর্মের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য প্রতিনিয়ত জামাতের ধর্ম ব্যবসায়ীরা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করছে। এরা প্রকৃতপক্ষে ইসলামের শত্রু, মানবতার শত্রু। এদেরকে এখন সামাজিক ভাবে বয়কট করতে হবে।”