ইউরোপের প্রায় সাতাশটি দেশ। সব দেশেই মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার বাসিন্দারা বসবাস করছেন। জুড়ীর অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণার্থে কিছু করার চিন্তা করছিলাম অনেক দিন থেকে। উদ্যোগও নিয়েছিলাম। বার বার হুছট খেয়েছি। অবশেষে ‘জুড়ী ইউরোপিয়ান এসোসিয়েশন’ নামে একটি সামাজিক সংগঠন গঠন করি এবং ৫ সদস্যের একটি কমিটি করি। এই কমিটি করার পর উক্ত সাতাশটি দেশে বসবাসরত জুড়ীবাসীর নিকট থেকে ব্যাপক সাড়া পাই। সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে উদার ভাবে সবাই এগিয়ে আসছেন, সহমত পোষন করছেন। আমি সত্যিই আনন্দিত, অভিতূত। সকলকে কৃতজ্ঞতাপূর্ণ ধন্যবাদ জানাই।
সাতাশটি দেশে বসবাসরত অসংখ্য জুড়ীবাসীকে যথাযথ মূল্যায়নের জন্য এবং কাজের সুবিধার্থে আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটির পরিধি বৃদ্ধি করব। যেমন- দুই বছর মেয়াদী কার্যকরি কমিটিতে এক জন করে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, ট্রেজারার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক, যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক, সমাজকল্যাণ সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদক, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক, তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, প্রশিক্ষণ সম্পাদক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক।
এক জন করে সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, সহ-দপ্তর সম্পাদক, সহ-যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক, সহ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক, সহ-সাহিত্য সম্পাদক, সহ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক, সহ-তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক।
সেই সাথে সাতাশটি দেশে এক জন করে সাতাশ জন সহ-সভাপতি, এক জন করে সাতাশ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, এক জন করে সাতাশ জন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও এক জন করে সাতাশ জন সহ-ট্রেজারার। তাছাড়া সাতাশ দেশ থেকে এক জন করে সদস্য নিয়ে মোট ১৬৫ সদস্যের কমিটি গঠন হবে।
ইউরোপের এই দেশ গুলোতে বসবাসরত জুড়ীবাসীর প্রত্যেকে ব্যক্তিগত ভাবে নিজ উপজেলার হতদরিদ্র মানুষ গুলোকে কোন না কোন ভাবে সহযোগিতা করছি। এতে দেখা যায় কিছু সংখ্যক মানুষ সাময়িক ভাবে বার বার সহযোগিতা পাচ্ছে। সেই সাথে অধিকাংশ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে।
এই সংগঠনের উদ্দেশ্য হল, আমাদের কর্ষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে একটি বৃহৎ তহবিল গঠন করা। সংগঠনের মাধ্যমে জুড়ী উপজেলার হতদরিদ্র মানুষদের (যেমন কন্যাদায়গ্রস্থ পিতা, অর্থাভাবে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত, প্রতিবন্ধী ও অসুস্থতায় কর্মহীন, গৃহহীন, বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব, শিক্ষা বঞ্চিত, স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন ইত্যাদি) এ তহবিল থেকে আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে তাঁদের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করে দেয়া।
তাই আসুন, সব দ্বিধাদ্বন্ধ ভুলে গিয়ে সবাই এক হয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
তৈমুর হাসান আপলু, সভাপতি, জুড়ী ইউরোপিয়ান এসোসিয়েশন