মঞ্জুরে আলম লাল :: মৌলভীবাজার জেলা অটো টেম্পু, সিএনজি, মিশুক সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ২৩৫৯ এর অন্তর্গত জুড়ী উপজেলা শাখার সাধারণ সভায় শ্রমিকরা নির্বাচনের দাবি জানালে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার মদিনা কমিউনিটি সেন্টারে সংগঠনের জেলা সভাপতি ও সম্পাদকের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলার শিশু পার্ক স্ট্যান্ড সিএনজি কমিটির সভাপতি বদরুল ইসলাম ও সাবেক সভাপতি আব্দুস সহিদসহ সিএনজি শ্রমিকগণ অভিযোগ করেন, ২০০৪ সালে জুড়ী উপজেলা গঠনের পর থেকে এ পর্যন্ত ১৬/১৭ বছরেও জুড়ী উপজেলা কমিটির নির্বাচন দেয়া হয়নি। স্থানীয় শ্রমিকদের দাবি উপেক্ষা করে জেলা নেতৃবৃৃন্দ অজ্ঞাত কারণে প্যাডের মাধ্যমে বারবার কমিটি ঘোষণা দেন। দীর্ঘদিন থেকে আমরা টাকা পয়সার কোন হিসাব পাইনি। উপজেলা সভাপতি মতিউর রহমান চুনু কোন হিসাব দেয়াতো দুরের কথা উপরন্তুু বিভিন্ন শ্রমিক দিয়ে মারামারি লাগিয়ে টাকা আত্নসাৎ করে আসছেন। তিনি জুড়ীর সিএনজি অঙ্গনে একচ্ছত্র আধিপত্ত বিস্তার করে রামরাজত্ব কায়েম করছেন। আজ (মঙ্গলবার) জেলা সভাপতি ও সম্পাদকের উপস্থিতিতে সাধারণ সভায় চুনু তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তার নামে শ্লোগান দেয়ান। অপরদিকে সাধারণ শ্রমিকরা নির্বাচনের দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে চুনু টেবিলের উপর থাবা মারলে তার সমর্থকরা সেখানে হট্টগোল শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থলে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। জেলা নেতৃবৃন্দ বার বার চলে যেতে চাইলে শ্রমিকরা তাঁদের যেতে দেয়নি।
ঘটনার খবর পেয়ে জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান রুহুল ইসলাম, জুড়ী থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী, ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস, গোয়ালবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন লেমন, জায়ফরনগর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিলাদ চৌধুরী প্রমূখ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মধ্যস্থতায় এক বৈঠক অনুষ্টিত হয়। বৈঠকে সংগঠনের জেলা সভাপতি পাবেল মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম দুর্গাপুজার পর জুড়ী উপজেলা কমিটির নির্বাচন অনুষ্টানের ঘোষণা দিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন।
সংগঠনের উপজেলা সম্পাদক মাসুক মিয়া বলেন, সভায় কিছুটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল পরে তা শেষ হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনের উপজেলা সভাপতি মতিউর রহমান চুনুর মোবাইল ফোনে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেই কেটে দেন। এবং সংগঠনের জেলা সভাপতি পাবেল মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিমের মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করলেও তারা ফোন কল রিসিভ করেননি।