• ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ৩০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে ৮০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে ৮০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার

১। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কক্সবাজার রিজিয়নের, রামু সেক্টরের অধীনস্থ, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) সদা জাগ্রত অতন্দ্র প্রহরী থেকে সীমান্ত নিরাপত্তায় বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে দায়িত্ব পালন করছে। নিজস্ব দায়িত্বপ্রাপ্ত সীমান্ত এলাকা দিয়ে মাদক পাচার এবং চোরাচালান প্রতিরোধে ২ বিজিবি কর্তৃক গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি, সীমান্তে নিয়মিত কার্যকরী টহল পরিচালনা ছাড়াও মাসব্যাপী বিশেষ অভিযান পরিচালনার ফলে সম্প্রতি বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও অন্যান্য চোরাচালান সামগ্রী, আগ্নেয়াস্ত্র, হাত বোমা এবং বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এসময়, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অপরাধীকে গ্রেফতার করে প্রচলিত আইন অনুযায়ী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে ৮০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

ক। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ টেকনাফ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ মির্জাজোড়া নামক এলাকায় ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারের উদ্দেশ্যে মায়ানমারের ০২ জন চোরাকারবারী সুকৌশলে সাঁতরিয়ে সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করে মির্জাজোড়া এলাকার নাফ নদীর কিনারায় কেওড়া বাগানের ভিতরে অবস্থানরত বাংলাদেশী সহযোগীদের নিকট হস্তান্তর করতে পারে। অধিনায়ক ২ বিজিবি, গোয়েন্দা তথ্যের আলোকে ব্যাটালিয়ন সদর হতে একটি বিশেষ দলকে টেকনাফ বিওপির একটি অভিযানদলের সহযোগিতায় মাদক পারাপারের সম্ভাব্য এলাকায় ফাঁদ পেতে নজরদারি বৃদ্ধির জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। অভিযানদল সমুহ আনুমানিক ০৮৩০ ঘটিকায় ০৩ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে নাফ নদী সাঁতরে কেওড়া বাগানের ভিতর দিয়ে মির্জাজোড়া এলাকার দিকে আসতে দেখে। বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে অপরাধীরা দ্রুত দৌড়ে আবার কেওড়া বাগানের ভিতরে পালিয়ে যায়। অভিযানরত বিজিবি সদস্যরা দীর্ঘ সময় তল্লাশী শেষে কেওড়া জঙ্গলের ভিতরে পাচারকারীদের লুকিয়ে রেখে যাওয়া কর্দমাক্ত দুটি ব্যাগের ভিতর হতে (বিশেষভাবে মোড়কজাত) ৮০,০০০ (আশি হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সমর্থ হলেও মাদক বহনকারী ব্যক্তিদের আটক করা সম্ভব হয়নি। অপরাধীদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান এবং উদ্ধারকৃত মাদক প্রচলিত আইন অনুযায়ী থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।

২। সম্মানিত মহাপরিচালক মহোদয়ের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বিজিবি দেশের সীমান্তে নিরাপত্তা, মাদক ও মানব পাচার এবং চোরাচালান প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে। বিজিবি মহাপরিচালকের মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়নে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন প্রতিনিয়ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে, যা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।