জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট এর সেবাসমূহ এখন মাইগভে ঢাকা-বাংলাদেশ, ০৭ নভেম্বর ইনস্টিটিউটের চারটি ডিজিটাইজড সেবাসমূহ চালু হয়েছে। জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজনে এবং এসপায়ার টু ইনোভেট-
এটুআই-এর কারিগরি সহায়তা সেবাগুলোকে এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে চালু করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট সেবাসমূহ মাই গড প্ল্যাটফর্মে উন্মুক্তকরণ’ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ডিজিটাইজড সেবাগুলোর উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়-এর সিনিয়র সচিব মো: হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট-এর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নূরুন নাহার হেনার সভাপতিত্বে
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটুআই এর যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) মোল্লা মিজানুর রহমান।
মাইগভে চালু হওয়া জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের চার সেবা হলো-গণমাধ্যম বিষয়ক প্রশিক্ষণ, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণার্থীদের সনদ প্রদান, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের স্থাপনা ভাড়ার আবেদন এবং অনলাইন রেজিস্টেশন এর জন্য আবেদন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়-এর সিনিয়র সচিব মো: হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, সরকার নাগরিকদের
ঝামেলামুক্ত সেবা প্রদান করতে চায়। এজন্য দরকার একটা সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম। এ উদ্দেশ্যে এটুআই এর সহযোগিতায় সরকার মাইগভ প্লাটফরম তৈরি করেছে।
মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৭টি দপ্তর/সংস্থার ডিজিটাইজেশনের আওতায় নেওয়ার কার্যক্রম চলমান। জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের ৪টি নাগরিক সেবংক প্রথম পর্যায়ে নাগরিকের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সংস্থার সেবাগুলো শিগগিরই যুক্ত
হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের সেবাগুলো শতভাগ ডিজিটাইজেশনের আওতায় নিতে চাই। আমাদের সেবাগুলোকে কাশলেস ও পেপারলেস এবং আরও নাগরিকবান্ধব গড়তে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন
দেখেছেন তা বাস্তবায়নে অবদান রাখতে চাই।
সভাপতি ও মহাপরিচালক জনাব নূরুন নাহার হেনা বলেন, সেবাগ্রহীতা অফিসে না গিয়েও ডিজিটাল পদ্ধতিতে নাগরিকবান্ধব সেবা
নিতে পারবেন। স্মার্ট বাংলাদেশে সেবা মিলবে কম সময়ে, কম খরচে আর কম যাতায়াতে।’ মাই গন্ডে নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় আবেদন দ্রুততম সময়ে এবং সর্বোচ্চমানের সেবা নিশ্চিতে সরকারি কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান।
সমন্বিত সেবা প্রদান প্লাটফর্ম (ওয়েব ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন) হিসেবে মাইগতে (mygov.bd) মন্ত্রণালয় ও দপ্তর বা সংস্থার
বিদ্যমান ই-সেবার সিস্টেমগুলো ইন্টিগ্রেশনের সুযোগ রয়েছে। এটুআই প্রোগ্রামের উদ্যোগে নির্মিত মাইগভ প্ল্যাটফর্মে এ পর্যন্ত ১২০০টি নাগরিক সেবাসহ প্রায় ১৯০০টি ডিজিটাইজড সেবা পাওয়া যাচ্ছে।
বর্তমানে মাইগড়ে ৪০ লক্ষাধিক নিবন্ধিত গ্রাহক রয়েছেন। তাদের ২৭ লাখেরও বেশি সেবার আবেদনের মধ্যে ২৬ লাখের বেশি
এরই মধ্যে নিষ্পন্নও করা হয়েছে। এ ছাড়া মাইগড়ে নাগরিক একবার তথ্য দিলে সেবা নিতে বারবার তথ্য দিতে হয় না। প্রতিবার
আবেদনেই নাগরিকের প্রোফাইলে থাকা তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূরণ হয়ে যায়। এতে সময়, ব্যয় ও যাতায়াত অনেক কমেছে। মাইগভে সেবা নিয়ে নাগরিক সন্তুষ্টি ও মতামত জানাতে পারছেন। মাইগভ রাপিড ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়ায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীনে সতেরটি দপ্তর ডিজিটাইজেশনের আওতায় নেয়ার কার্যক্রম চলমান। তন্মধ্যে আজ জাতীয় গণমাধ্যম
ইনস্টিটিউটের ডিজিটাইজড সেবাসমূহ নাগরিকের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাইগভ র্যাপিড ডিজিটাইজেশন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের ডিজিটাইজড হওয়া সেবা বিষয়ে উপস্থাপনা
প্রদান করেন এটুআইয়ের প্রজেক্ট অ্যানালিস্টস্ট (উপসচিব) মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ জলিল (মুন্না রায়হান), ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মেহদী আজাদ মাসুম, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক ফারুক আলমসহ জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও
গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন ও ইউএনডিপির সহায়তায় পরিচালিত এটুআই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নাগরিক সেবা সহজিকরণে কাজ করে যাচ্ছে।