ভারত আশা করছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে শিগগিরই শান্তি ফিরবে।বর্তমানে বাংলাদেশ পরিস্থিতির দিকে ভারত নিবিড় দৃষ্টি রাখছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই,২০২৪) নয়াদিল্লিতে এক ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল এ কথা জানান।
বাংলাদেশে সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাত সহিংসতাকে এ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মন্তব্য করেছে পাশ্ববর্তী দেশ ভারত।
ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ভারতের প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অথবা অন্য কেউ বাংলাদেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন কি না। কিংবা সেই আন্দোলনে বাইরের হাত থাকার কোনো রিপোর্ট ভারতের কাছে আছে কি না।
আন্দোলনকারীদের মুখে ভারতবিরোধী স্লোগান শোনা গেছে উল্লেখ করে মুখপাত্র প্রশ্ন করা হয়, সে দেশের জনগণের একাংশের বিরোধিতায় ভারত উদ্বিগ্ন কি না। এসব প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিলে মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বারবার বলেন, বাংলাদেশে যা ঘটছে, তা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খুবই দৃঢ়, উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ,আন্তরিক।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয় শিক্ষার্থী ও অন্যদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার অনেক সাহায্য-সহযোগিতা করেছে।
তিনি বলেন, গতকাল পর্যন্ত ছয় হাজার ৭০০-এর বেশি ভারতীয় নাগরিক নিরাপদে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে গেছেন। নিরাপদে ফিরে যাওয়ার জন্য ভারতীয় হাইকমিশন ও সহকারী হাইকমিশন ২৪ ঘণ্টা হেল্পলাইন চালু রেখেছে।
মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক এক মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। ওই প্রতিবাদপত্র কূটনৈতিক চ্যানেলে ভারতের কাছে পৌঁছেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ভারতীয় সংবিধানের সপ্তম তফসিল অনুযায়ী পররাষ্ট্রসংক্রান্ত সব কিছুই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। এখানে রাজ্য সরকারের মাথা ঘামানোর কিছু নেই।