ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে উলামায়ে কেরামরা খুবই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। দেশের শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষায় উলামায়ে কেরামদেরকে এভাবে সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
আজ সকালে রাজধানীর বেইলী রোডে ধর্মমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনস্থ সভাকক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় বিশিষ্ট উলামায়ে কেরামের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, আলেম-উলামারা আমাদের সমাজের অত্যন্ত সম্মানিত ও শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব। তাঁরা সকলেই অত্যন্ত সচেতন ও দায়িত্বশীল মানুষ। সরকার দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ ও বাস্তবায়নে উলামায়ে কেরামদের মতামত ও পরামর্শকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে থাকে। কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের আলোকে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় ও উন্নয়ন-অগ্রগতিকে গতিশীল রাখতে আলেম-উলামা সমাজের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। সম্প্রতি অগ্নি সন্ত্রাস, নাশকতা ও নৈরাজ্যের মাধ্যমে যে হত্যাকাণ্ড ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের ধ্বংস করা হয়েছে তার নেপথ্যে যারা ছিলো তাদের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচন করার ক্ষেত্রে উলামায়ে কেরামদেরকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানান মন্ত্রী।
ধর্মমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর খেদমতে নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ইসলাম শিক্ষার প্রসার ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান অবিস্মরণীয়। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার মাধ্যমেই কেবল ইসলাম ও দেশের সামগ্রিক উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে কোন কুচক্রী মহল যাতে আলেম-উলামাদেরকে বিভ্রান্ত করতে না পারে এবং দেশের শান্তি-শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটাতে না পারে সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হুছামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আলেম- ওলামা সমাজ প্রধানমন্ত্রীর সাথেই আছে সে বিষয়ে উলামায়ে কেরামদের পক্ষ হতে তাঁকে আশ্বস্ত করতে হবে। এছাড়া, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যাতে কোন সংঘাতে জড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়ে মাদ্রাসার সাথে সংশ্লিষ্ট উলামায়ে কেরামদেরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
ধর্মসচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. বশিরুল আলম, বায়তুল মোকারম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমিন, দারুল উলুম রামপুরা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, ঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা কফিল উদ্দিন সরকার সালেহীসহ দেশের বিশিষ্ট উলামায়ে কেরামরা
উপস্থিত ছিলেন।