ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে মধুপুর গ্রামের বাংলাদেশি ওবায়দুল নামের একজনকে খুন সহ বিএসএফয়ের হাতে ১৬ নিহত ও আহত ৪৮ নিরস্ত্র নাগরিক হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম।
আজ সোমবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশিদের হত্যা বন্ধ করছে না বিএসএফ। দু’দেশের সরকার প্রধান ও বিজিবি-বিএসএফয়ের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও সীমান্তে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার চলছেই বিএসএফয়ের। এভাবে ভারতকে আর কোন ছাড় নয়। এখনও প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, কিশোরী ফেলানী, স্বর্ণা বা জয়ন্ত নয়, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) নিয়মিত বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষকে সীমান্তে গুলি ও নির্যাতন করে হত্যা করছে। গুজরাটের কসাই মোদি ও বিজেপি’র উগ্রবাদীরা ভারতের অভ্যন্তরে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। এখন তারা বাংলাদেশকেও অশান্ত করতে সীমান্তে হত্যায় মেতে উঠেছে। এই হত্যা খেলা বন্ধ না করলে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা এখনও বেঁচে আছে। প্রয়োজনে উগ্রবাদী কসাই মোদি ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে আরো একটি যুদ্ধের জন্য বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও নতুন প্রজন্ম প্রস্তুত আছে।
ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের নেতা বলেন, বিএসএফ নিরীহ ও নিরস্ত্র বাংলাদেশিদের হত্যা করছে। এ সব হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে সরকারকে সোচ্চার হতে হবে। ভারতকে কড়া বার্তা দিয়ে কঠোর মনোভাব ব্যক্ত করতে হবে। শক্তিশালী, আপোষহীন পররাষ্ট্রনীতির অনুসরণে জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে। সীমান্ত হত্যা প্রশ্নে ভারতকে কোনোভাবেই ছাড় দেয়া যাবে না। প্রতিটি হত্যাকান্ডের জন্য ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানাতে হবে। সকল হত্যাকান্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সম্ভাব্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার জন্য এভাবে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারলে নিঃসন্দেহে তার সুফল মিলবে। অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।