বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও দলটির ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া চলছে, যেকোনো সময় নিষিদ্ধের ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
আজ বুধবার, ৩১ জুলাই,সন্ধ্যায় সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
জঙ্গি সংগঠন জামায়াত আগে নিষিদ্ধ ছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান এসে তাদের আবার রাজনীতির অধিকারটা দিয়েছে। এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দলগুলো এবং এ দেশের সুধীসমাজ উভয়ই জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার জন্য অবিরাম বলে আসছিল।
এ দাবীটা জনগণের একটি দাবি ছিল।
আজ সরকার নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধী এ দলটিকে নিষিদ্ধ করা হবে বলে গতকালই জানিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
এক দশকের বেশি সময় আগে আদালতে যুদ্ধাপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। এর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলো জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে সরকারকে চাপ দিয়ে আসছিল।
তবে নির্বাহী আদেশে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে রাজি ছিল না সরকার।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, সম্প্রতি কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি জেলায় যে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয় তার পেছনে জামায়াত ও এর সহযোগী সংগঠন শিবির মূল ভূমিকায় ছিল বলে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। এই আন্দোলন সামাল দিতে গিয়ে সরকার গত ১৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাপে পড়েছে। ফলে জামায়াতের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সভায় জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একমত হয় জোট শরিকরা গত সোমবার রাতে।বৈঠক থেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে ফোন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
সন্ত্রাস দমন আইনের ১৮ ধারা অনুযায়ী জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।