স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুতিকালে বুদ্ধিজীবিরাই স্বাধীনতা সংগ্রামের আদর্শিক ভিত্তি রচনা করেছিলেন। স্বাধীনতা বিরোধী চক্র বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মাধ্যমে জাতিকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে চেয়েছিল কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বের ফলে বাংলাদেশ আবার পৃথিবীর বুকে সম্মানের সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকার ইনস্টিটিউট অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এ আয়োজিত “মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়ঃ বর্তমানের প্রেক্ষিতে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এবং মূল আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউট অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামসুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউট অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এর সভাপতি একেএমএ হামিদ।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার জন্যে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের এককোটি শরনার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের শুরু এবং বর্তমানে উভয় দেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় গিয়েছে। উভয় দেশের সম্পর্ক রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ কারণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদান অনস্বীকার্য। ভারতের অনেক সেনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত হয়েছে এবং বহু আহত হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশ প্রতিবেশী হিসেবে নিজেদেরকে সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে নিজেদের অবস্থানকে সুসংহত করতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মোঃ তাজুল ইসলাম এ সময় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ছিটমহল বিনিময়ের উদাহরণ দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ৭০০০ একর জমি এবং ভারত ১৭০০০ একর জমি সমঝোতার মাধ্যমে পরস্পরকে হস্তান্তর করে যা প্রতিবেশী হিসেবে পৃথিবীর অনেক অঞ্চলের জন্যই উদাহরণ হয়ে থাকবে। এছাড়াও বাংলাদেশ ও ভারত সমুদ্র সীমারেখা আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুন মেনে সমাধান করেছে।
ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। উভয় দেশের ভাষা, সংস্কৃতি, শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত মিল ছাড়াও দুই দেশের জনগণের আত্মার সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশ ও ভারতের উন্নতি একই সূত্রে গাঁথা।