কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। তাই ঈদের মুখে সে দেশে জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। কূটনেতিক স্তরে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান সরকার সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্তে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস জোগর করতেই নাজেহাল হয়ে পড়ছে দেশটির জনগন। তাদের উদ্বেগ, মুদ্রাস্ফীতির জেরে এমনিই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। তার উপরে ভারত থেকে পেঁয়াজ ও অন্যান্য আনাজ আমদানি বন্ধ হওয়ায় চাপ আরও বাড়ছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে গৃহবধূ নাজমা বলেন, ‘রোজগার বাড়ছে না। দুধ থেকে শাক-সবজি বা মাংসের দাম বেড়েই চলছে। এখন ভারতের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ হওয়ায় প্রতিদিনের ব্যবহারের জিনিসের দাম আরও বাড়বে।’
একই চিন্তা পেঁয়াজ বিক্রেতা ইফতেখারের, ‘ঈদের মাত্র ৩-৪ দিন বাকি। কেনাকাটা প্রায় বন্ধ। সবজি ও পেঁয়াজ আসে ভারত থেকে। ইমরান খান কী চান? আমরা ঘাস খেয়ে থাকি?’
ব্যাংক কর্মী আসফাক বলেন, ‘ঈদের রোশনাই এবার ফিকে হয়ে গেছে। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করে আমাদের অর্থনীতি বিপর্যস্ত করার পিছনে ইমরান সরকারের কী ভাবনা বুঝতে পারছি না।’
জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ ও রাজ্যকে দুটি প্রশাসনিক এলাকায় ভাগ করা নিয়ে ক্ষুব্ধ পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। বাণিজ্য বন্ধের পাশাপাশি ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আকাশসীমা বন্ধ। সমঝোতা ও থর এক্সপ্রেস ট্রেন দুটিও বাতিল করেছে তারা। পুলওয়ামা হামলার পরে পাক পণ্যে ২০০ শতাংশ শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দিল্লি। ফলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বড় ধাক্কা খেয়েছিল তখন। এখন কাশ্মীর নিয়ে দড়ি টানাটানিতে বাণিজ্য সম্পূর্ণ বন্ধ।
সৌজন্যে – কালের কণ্ঠ