ভারতের সাবেক অর্থমন্ত্রী ও দেশটির ক্ষমতাসীন বিজেপির প্রভাবশালী নেতা অরুণ জেটলি মারা গেছেন। প্রবল শ্বাসকষ্ট ও শারীরিক অস্থিরতা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬৬।
গত দুই বছর ধরে অরুণ জেটলির স্বাস্থ্য ভালো যাচ্ছিল না। ২০১৮ সালে তার কিডনি প্রতিস্থাপনে অস্ত্রোপচার হয়েছিল তার। এরপরেই তিনি নীরব হয়ে যান।
সে সময় শারীরিক অসুস্থতার জেরে জেটলির অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেন পীযূষ গোয়েল। কেন্দ্রীয় বাজেটও পেশ করতে পারেননি জেটলি।
তার পরিবর্তে বাজেট পেশ করেন পীযূষ গোয়েল। শারীরিক অসুস্থতার জেরেই এবার লোকসভা নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি জেটলি। মন্ত্রীত্ব থেকেই অব্যাহতি নেন তিনি।
ডায়াবেটিসের কারণে হওয়া অতিরিক্ত ওজন কমাতে বছর চারেক আগে ২০১৪ সালে তার ব্যারিয়্যাট্রিক অস্ত্রোপচার হয়। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতায় আসার প্রথম মেয়াদে তিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে আবির্ভূত হন।
গত মে মাস থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন জেটলি। কদিন আগেই জানা গিয়েছিল, দেশটির কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক। গত মঙ্গলবার হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল, অরুণ জেটলিকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
অসুস্থতার কারণে মোদীর বিগত সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও এবারের সরকারে থাকেননি। সম্প্রতি তিনিও মারা গেছেন।
অরুণ জেটলি পেশাগত জীবনে একজন আইনজীবী ছিলেন। ইন্দিরা গান্ধী সরকারের আমলে জরুরি অবস্থার সময় তাকে জেল খাটতে হয়েছে। তখন তিনি ছাত্র নেতা ছিলেন।
জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি ভারতীয় জনসংঘের একজন সদস্য হিসেবে সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এরপর দলটিতে বড় পদে আসীন হন তিনি। জনসংঘই পরবর্তী সময়ে বিজেপিতে রূপ নেয়।
অটল বিহারি বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায়ও ছিলেন তিনি। ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালে বিজেপি বিরোধী দলে ছিল। তখন অরুণ জেটলি রাজ্য সভায় বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেন।