ভালোবাসার বহুমাত্রিকতা তুলে ধরতে প্রবর্তিত হল ভালোবাসা পদক
বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস উদযাপনের ৩৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে যায়যায়দিন ও ইষ্টিশন কমিউনিকেশনের আয়োজনে রাজধানীর শেরাটন হোটেল অনুষ্ঠিত হলো একটি বিশেষ সংবাদ সম্মেলন।
ভালোবাসা দিবসে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করা হয় আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারী ঢাকার শেরাটন হোটেলের আলফ্রেসকোতে অনুষ্ঠিত হবে ভালোবাসা পদক ২০২৫ প্রদান অনুষ্ঠান।
এতে মানব-প্রাণ ও প্রকৃতিতে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরুপ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ভালোবাসা পদক প্রদান করা হবে।
চলতি বছর দেশ, প্রকৃতি, প্রাণ ও মানবহিতৈষী কাজে অনন্য অবদান রাখায় চারজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এ পদকে ভূষিত করা হবে। পাশাপাশি থাকবে আজীবন সম্মাননা, প্রবর্তক সম্মাননা।
বিশেষ ক্যাটাগরি ছাড়াও থাকছে স্টার ক্যাটাগরিও। অনুষ্ঠানে জানানো হয় এটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক একটি উদ্যোগ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যায়যায়দিন পত্রিকার সম্পাদক ও বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবসের প্রচলক শফিক রেহমান ও তাঁর সহধর্মিণী ও ডেমোক্রেসি ওয়াচ এর নির্বাহি পরিচালক তালেয়া রেহমান, ইষ্টিশন কমিউনিকেশন’স এর সিইও ও ভালোবাসা দিবস উদযাপন পর্ষদ এর আহ্ববায়ক রুদ্র হক, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মাহমুদ দিদার, শেরাটন হোটেলের সিইও মো: শাখাওয়াত হোসেন, ঐতিহ্য প্রকাশনীর কর্ণধার আরিফুর রহমান নাইম ও যায়যায়দিন এর যুগ্ম সম্পাদক সজীব ওনাসিস।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন জনপ্রিয় উপস্থাপক শ্রাবন্য তৌহিদা।
ভালোবাসা পদক প্রবর্তন প্রসঙ্গে এ আয়োজনের উদ্যোক্তা ও পরিকল্পক রুদ্র হক বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস একটি সার্বজনীন উৎসবে রূপ পেয়েছে। ভালোবাসা শুধু নর-নারীর সম্পর্কের মধ্যেই সীমাবদ্ধ কোন বিষয় নয়, এটি বাবা মা ভাই বোনসহ প্রতিটি সম্পর্ক এমনকি মানব প্রাণ প্রকৃতির সর্বত্র বিরাজমান। ভালোবাসার এই বহুমাত্রিকতাই ভালোবাসা পদক ধারণ করতে চায়। ’
অনুষ্ঠানে বরেণ্য সাংবাদিক ও ভালোবাসা দিবসের প্রচলক শফিক রেহমান বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস প্রচলনের ইতিহাস তুলে ধরেন। স্মৃতিচারণে উঠে আসে ১৯৯৩ সালে যায়দিন এর ঐতিহাসিক ভালোবাসা সংখ্যার কথা।
তিনি বলেন, ‘ভালোবাসা দিবস যে এত ব্যাপকতা পাবে তা ভেবে আমি কিছু করিনি। আপন মনের খেয়ালে কাজ করে গেছি। এখন তা যে সারাদেশে সার্বজনীনভাবে পালিত হয় তা দেখে আমি অসম্ভব আপ্লুত। ভালোবাসা পদক প্রবর্তন এর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আশা করি উদ্যোগটি সফল ও অর্থবহ কিছু হতে যাচ্ছে।’
ইষ্টিশন কমিউনিকেশনস এর চেয়ারম্যান মাহমুদ দিদার বলেন, ‘ভালোবাসা দিবস এমন একটি সার্বজনীনরূপ পেয়েছে যা কখনোই মুছে ফেলা সম্ভব নয়। জনমানুষের অন্তর্গত ভালোবাসার আকাঙ্খায় এটি মিশে আছে। আমরা সমুজ্জ্বল ভালোবাসার এই অনুভূতির বহুমাত্রিকতাকে ছড়িয়ে দিতে প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে শফিক রেহমান ও যায়যায়দিন এর সাথে একাত্ম হয়ে নানা সৃজনশীল উদ্যোগ গ্রহন করবো। যার প্রথম পদক্ষেপ ভালোবাসা পদক ঘোষণা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা ভালোবাসা পদক প্রবর্তন এর উদ্যোগটিকে তাৎপর্যপূর্ণ উদ্যোগ বলে অভিহিত করেন।
শফিক রেহমান এর স্ত্রী তালেয়া রেহমান উদ্যোগটিকে স্বাগত জানিয়ে তাদের কয়েক দশকের ভালোবাসার স্মৃতিচারণ করেন।
অনুষ্ঠানটির ক্ষেত্রে সহযোগিতায় ছিল আশিয়ান সিটি ও হসপিটালিটি পার্টনার শেরাটন ও প্রোটিন প্রার্টনার।