সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস ও একটি নোটিশ দেখলাম। স্ট্যাটাস ও নোটিশটি নিয়ে দু-একটি কথা বলার লোভ সামলাতে পারলাম না।
বিষয়টিকে নিজের দায়িত্ব বলে ও মনে করছি।
স্ট্যাটাসটি জনৈক ইখতিয়ার উদ্দিন এর। সে দৈনিক ভোরের কাগজ এর বার্তা সম্পাদক। কি কুটকৌশল করে ভোরের কাগজ এর বার্তা সম্পাদক হয়েছে তা ভোরের কাগজ এর সাথে যুক্ত সবাই ভাল ভাবে জানে।
এখন পর্যন্ত কিভাবে টিকে আছে তা ও অজানা নয়।
ইখতিয়ার ফেসবুকে গত ২৭ মার্চ বৃহস্পতিবার লিখেছে—-
“আবার জমবে মেলা। দুই মাসের বেশি সময় ধরে এক কঠিন পথযাত্রার পর আবার দুয়ার খুললো ভোরের কাগজের।”
এই স্ট্যাটাস দেখে অনেকেই ফোন করে আমার কাছে জানতে চেয়েছেন কিসের মেলা বসবে?
“ভোরের কাগজে বার্তা সম্পাদকের টেবিলের সামনে চা কফির নামে যে ‘নারী মেলা’ (ভাষা/শব্দ আরো খারাপ ছিল) বসতো সেটি?
আমি এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারিনি বা দেইনি। কারণ বিষয়টির সঙ্গে আমার সম্মানিত নারী সহকর্মীরা জড়িত। তাদের আমি সম্মান করি।
স্ট্যাটাস এর সাথে যুক্ত ছিল একটি ছবি। ভোরের কাগজ এর প্যাডে নির্বাহী সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ। নোটিশের শিরোনাম
“প্রতিষ্ঠান খোলা সংক্রান্ত নোটিশ”
এতে বলা হয়েছে, উদ্ভুত পরিস্থিতি নিরসন হওয়ায় আজ ২৭ মার্চ থেকে ভোরের কাগজ কার্যালয়ে খুলে দেয়া হয়েছে। ভোরের কাগজের সকল সাংবাদিক কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাজে যোগদানের জন্য বলা হলো।
আমি জানতে চাই – পরিস্থিতি কি নিরসন হয়েছে? যে ৪২ জন সাংবাদিক কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছাঁটাই করা হয়েছে তাদের পুরো পাওনা কি পরিশোধ হয়েছে ?
আমি বলেছি, পুরো পরিশোধ হয়নি । এখনো পাওনা আছে। পাওনা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আমি মনে করি না। বিষয়টি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দও মনে করেন না।
আন্দোলনে সম্পৃক্ত আরো ৩০ থেকে ৪৫ জন সাংবাদিক কর্মকর্তা কর্মচারীর বকেয়া বেতনসহ বোনাস কি দেয়া হয়েছে ?
আমি জানি, দেয়া হয়নি। আশ্বাস দেয়া হয়েছে যা পুরোটাই প্রতারণা । বলা হয়েছিল, ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে। পুরোটাই মিথ্যা।
এসব কর্মচারীদের বেতন না দিয়ে ঈদের আগে মোনাফেকি করা হয়েছে।
তাহলে পরিস্থিতি নিরসন হলো কিভাবে?
সব সাংবাদিক কর্মকর্তা কর্মচারী ঈদের পরে পাওনা আদায় সাংবাদিক ইউনিয়নসহ সব সাংবাদিক সংগঠনের নেতা কর্মীদের নিয়ে মাঠে নামবে। আন্দোলন করে টাকা আদায় করে তবেই ঘরে ফিরবে।
এর আগে অফিস খুলে পত্রিকা প্রকাশের যে ছক ইখতিয়ার, সোহাগ, রাজ্জাক, সুজন গংরা করছে তা বাস্তবায়ন হতে দেয়া হবে না।
সর্বোপরি ইখতিয়ার, সোহাগ, রাজ্জাক, সুজন গংদের নিয়ে মালিক যদি ভোরের কাগজ প্রকাশ করতে চায় সেটা মেনে নেয়া হবে না। কারণ ওরা ভোরের কাগজ এর ইউনিটি ধরে রাখতে পারেনি। ওরা অযোগ্য।
ওদের বাদ দিয়ে নতুন ব্যবস্থাপনায় ভোরের কাগজ প্রকাশ হলে আমার কোন আপত্তি থাকবে না।
যতক্ষণ পর্যন্ত ওরা ভোরের কাগজে থাকবে, মালিক সাবের হোসেন চৌধুরী ওদের বাদ দেবেন না ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
কারণ ওদের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও বৈষম্যমূলক আচরণের জন্যই ভোরের কাগজে অচল অবস্থা তৈরি হয়েছে । ওরা সহকর্মীদের শত্রু মনে করে।