মধ্য ভোগতেরা নিবাসি হযরত শাহ খাকী (রঃ) ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক হাফিজ মাওলানা আব্দুল কাদির আজ ২৪/০৮/২০১৯ রোজ শনিবার সকাল ৭.৪৫ ঘটিকায় সিলেটের একটি বেসরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করিয়াছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। ওনার জানাজার সময় আজ বিকাল ৫.৩০মিনিট হযরত শাহ খাকী (রঃ) ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্টিত হবে।
ওনার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে সহপাঠী সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জনাব শাহেদ চৌধুরী লিখেছেন – ‘প্রত্যক প্রাণীই মিত্যুর স্বাধ গ্রহন করিবে ( আল কোরআন) তবে আপনি এতো তাড়াতাড়ি চলে যাবেন তা বিশ্বাস করতে পারছি না? এই তো সেদিন শেষ দেখা হয়েছিলো আজ আপনি যেখানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন জায়ফরনগর হযরত শাহ খাকি (রঃ) ঈদগা ময়দানে, আমাকে সালাম করে সবার সামনে জড়িয়ে ধরে বলে ছিলেন উনি আমার ক্লাসমেট। হা এক সময়ে আপনে আমি মৌলানা আব্দু শহীদ সহ বড়লেখার তালিমপুর মাদ্রাসায় পড়েছিলাম, ১৯৮৫/৮৬ সালের দিকে যখনই আপনে হেফজ শেষ করে আমাদের সাথে পঞ্চম শ্রেনীতে ভর্তি হয়েছিলেন তালিমপুর মাদ্রাসায়। যদিও আপনি আমার চাইতে বয়সে কিছুটা বড় ছিলেন তবুও কোনদিন নাম ধরে ডাকেন নাই, এটি নিয়ে আপনাকে অনেকবার বলেছি যে হাফিজ সাব আপনে আমাকে নাম ধরে ডাকবেন তখনই নিচের দিকে চেয়ে মুচকি হাসি দিয়ে বলতেন আপনি একজন সুবক্তা ও আমার ক্লাসমেট, এইভাবে আরো অনেক সৃতিবিজড়িত ঘটনা আছে আপনাকে নিয়ে, যা এই ছোট্ট পরিসরে লিখা সম্ভব নয়, প্রিয় পাঠক যাকে নিয়ে আমার এই লিখা উনি হচ্ছেন সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের ঐতিয্যবাহী মধ্য ভোগতেরা গ্রামের বিটিশ পাকিস্তান আমলের এক ধনাট্য পরিবারের সন্তান হযরত মৌলানা হাফিজ আব্দুল কাদির সাহেব, উনার বাবা হচ্ছেন মরহুম আব্দুল মান্নান সাহেব, জনাব আব্দুল মান্নান সাহেবের খুবই আদরের বড় সন্তান ছিলেন হযরত মৌলানা হাফিজ আব্দুল কাদির সাহেব, দীর্ঘদিন থেকে আমাদের এলাকার সর্বচ্ছ বিদ্যাপীঠ হযরত শাহ খাকি ( রঃ) আলিম মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক ছিলেন, এবং ভিবিন্ন সামাঝিক ও রাজনৈতিক এবং ডমেষ্টিক সাংবাদিকতাও জড়িত ছিলেন হযরত মৌলানা কাদির সাহেব,আজ সকালে উনি সিলেটের একটি হাসফাতালে ইন্তেকাল হইয়াছে, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন, দু আ করি মহান মাবুদের পাক দরবারে আমার প্রিয় সহপাঠী হযরত মৌলানা হাফিজ আব্দুল কাদির কে জান্নাতের উচু মাকাম দান করেন, এবং উনার স্ত্রী সন্তান ছাত্র ছাত্রী আত্মীয় স্বজন পরিবারের সবাই কে যেনো দর্যধারনের খমতা দান করেন, আমিন ইয়া রাব্বি।’