• ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৬ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

‘মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাতকারের পর মাথা কেটে হত্যা’, এক অভাবনীয় মামলার গল্প

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত আগস্ট ৬, ২০১৯
‘মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাতকারের পর মাথা কেটে হত্যা’, এক অভাবনীয় মামলার গল্প

ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যার কথা স্বীকার করে ৫ ছাত্র। ছবি - ইউএনবি

গত ২৪ জুলাই চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কায়রাডাঙ্গা গ্রামের নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেনির ছাত্র আবির হোসেনের মাথাবিহিন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় এর আগে দুইজন শিক্ষক কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর গত রবিবার ঐ মাদ্রাসার আরও ৫ ছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ ৬ আগস্ট মঙ্গলবার ইউএনবির এক প্রতিবেদনে আলোচিত এ মামলার ‘রহস্য উন্মোচিত’ হয়েছে বলে দাবী করা হয়।

গ্রেফতার ছাত্ররা হল- আনিসুজ্জামান, ছালিমির হোসেন, আবু হানিফ, আব্দুন নুর ও মুনায়েম হক। সোমবার চুয়াডাঙ্গার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে ১৬৪ ধারায় তারা স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দী দেয়।

গোয়েন্দা পুলিশের ইনস্পেক্টর আব্দুল খালেক এর নেতৃত্বে এক অভিযানে ঐ ৫ ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। জনাব আব্দুল খালেক জানান তখনই তারা আবির হসাইন কে হত্যার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে। এর পর আজকের প্রতিবেদনে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ জানান নুরানি মাদ্রাসার শিক্ষক ‘তামিম বিন ইউসুফ’ দীর্ঘদিন থেকে মাদ্রাসা ছাত্রদের ওপর শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছেন।

ছাত্রদের দিয়ে শরীর ম্যাসেজ করাতেন ও তাদের ঠিকমতো খেতে দিতেন না, এসবের প্রতিবাদ করলে অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যেত। তাই তারা আগে শিক্ষক তামিম কে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরপর প্ল্যান বদলে তারা দ্বিতীয় শ্রেনির ছাত্র আবিরকে হত্যা করে। পরিকল্পনা মাফিক তারা ভিকটিমকে মাদ্রাসার পাশের আমবাগানে নিয়ে যায়। তারপর নির্মমভাবে মাথা কেটে তাকে হত্যার পর কল্লাকাটা গুজব রটানোর জন্য লাশ সেখানে ফেলে চলে আসে। এর দুইদিন পর পাশের পুকুর থেকে ভিক্টিমের কাটা মাথা উদ্ধার করে পুলিশ। ঐ শিক্ষক কে ফাঁসানোর জন্য তারা এসব করে বলে স্বীকার করে।

January 2025
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031