কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত অসত্য ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করায় এর প্রতিবাদ জানিয়েছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবাদে দেশের শীর্ষস্থানীয় এই ব্যাংটি জানায়, ‘গত ১৫ ডিসেম্বর কিছু গণমাধ্যমে কথিত টাকার সংকট নিয়ে শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ব্যাংকের সাথে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি’র নাম উল্লেখ করে বিভ্রান্তিকর, উদ্দেশ্যমূলক, অপ্রত্যাশিত, অসত্য ও বাস্তবতা বিবর্জিত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে; যা ব্যাংকিং সেক্টরের গতিশীলতাকে বিনষ্ট করার অপপ্রয়াস। বিরাজমান সমস্যা মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতি ও ব্যাংকিং সেক্টর যখন অগ্রগতির দিকে এগিয়ে চলছে তখন এ ধরণের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ ব্যাংকিং সেক্টরসহ দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার গভীর চক্রান্ত। এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো এবং দেশের অর্থ ও ব্যাংকিং ব্যবস্থার উপর আস্থা নষ্ট করার কূটকৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা দৃঢ়তার সাথে এধরণের নীতিবর্জিত সংবাদ ছাপানোর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
প্রতিবাদে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘আমরা স্পষ্টত বলতে চাই, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে কোন তারল্য সংকট নেই। আমাদের সকল কার্যক্রম ও লেনদেন নিয়মিত, স্বাভাবিক ও স্বাচ্ছন্দ্যে চলছে। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক আমানত, বিনিয়োগ, বৈদেশিক বাণিজ্য, রেমিট্যান্স প্রভৃতি সূচকে ইতিবাচক ধারায় আছে। এ পর্যন্ত আমাদের কোনো শাখা, উপশাখা বা অ্যাজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের কোনো গ্রাহক ব্যাংকের কোনো শাখায়, উপশাখায় কিংবা অ্যাজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটে টাকা উত্তোলন করতে এসে কিংবা এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে গিয়ে ফেরত এসেছেন এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ব্যাংটির আমানত বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে ব্যাংকটি জানায়, ‘আমদানি-রপ্তানি ও রেমিট্যান্স আহরণে বাৎসরিক লক্ষ্যমাত্রা ইতোমধ্যে অর্জিত হয়েছে। তাছাড়া ব্যাংকের তারল্যসূচকসমূহ যেমন- ঋণ আমানত অনুপাত, এলসিআর, এনএসএফআর, লিভারেজ অনুপাত প্রভৃতি গত তিন প্রান্তিকে উন্নতি ঘটেছে। এ সবই সম্ভব হয়েছে স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের সাথে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির কারণে।
গত ১ বছরে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য জনবান্ধব বেশকিছু আমানত প্রকল্প নিয়ে এসেছে, যা ইতোমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এছাড়া আমাদের উপর আস্থার কারণে ২০২৩ সালে ৫ লাখ নতুন গ্রাহক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। ফলে প্রতিনিয়ত ব্যাংকের আমানত বেড়ে চলেছে।’
প্রবাসীদের কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স দেশে আনতে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবারও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে জানিয়ে প্রতিবাদে আরও বলা হয়, ‘আমাদের ব্যাংক ২০২৩ সালে ইতোমধ্যে প্রথমবারের মতো এক বিলিয়ন ডলারের উপরে রেমিট্যান্স আহরণে সক্ষম হয়েছে, গত বছরের তুলনায় যার প্রবৃদ্ধি প্রায় চারশত ভাগ এবং যা ব্যাংকিং সেক্টরে সর্বোচ্চ। এটি অবশ্যই প্রবাসী বাংলাদেশিসহ গ্রাহকদের আস্থা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।’
কতিপয় গণমাধ্যমে প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘আমরা দৃঢ়তার সাথে আশ্বস্ত করতে চাই, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি’র সকল গ্রাহকের আমানত সম্পূর্ণ সুরক্ষিত ও নিরাপদ। তাই ব্যাংকের সকল সম্মানিত গ্রাহক ও শুভাকাঙ্খীকে এ ধরণের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হবার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’