রাণী পেট এন্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ নিজ পণ্য রপ্তানীতে সেরা অবস্থানে যেতে চায়
রাণী পেট এন্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ নিজ পণ্য রপ্তানীতে সেরা অবস্থানে যেতে চায়
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
রিপোর্ট: রাজীব-তাজ
আইপিএফ বাংলাদেশ শিল্প মেলা-২০২৪ এ অংশ নিয়ে রাণী পেট এন্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছে। ২৪-২৭ জানুয়ারী ঢাকার বসুন্ধরা এক্সপো জোনে অনুষ্ঠেয় ১৬তম বাংলাদেশ প্লাস্টিকস, প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং (আইপিএফ) শিল্প প্রদর্শনীতে অংশ নেয় কোম্পানীটি। ফুড প্যাকেজিং ও ব্লিস্টার প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে নিজ উৎপাদিত প্যাকেজিং পণ্যসমূহ এই মেলাতে উপস্থাপন করেছে রাণী গ্রুপ। উল্লেখ্য রাণীর সব এক্সেসরিজ আইএসও: ৯০০১ সনদপ্রাপ্ত এবং তারা বি সি এস আই আর (স্যায়েন্স ল্যাব) থেকে ২০১৬ সালে ছাড়পত্র লাভ করে। বিগত ৩ বছর ধরে এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে রাণী পেট এন্ড প্লাস্টিক। মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে রপ্তানীর ক্ষেত্রে রাণীর ফুড গ্রেডেড আইটেমগুলো খুব চাহিদা সম্পন্ন। দেশের মধ্যে এক্স-গ্রুপ, ডেকো-গ্রুপ এবং বনফুল নিয়মিতভাবে তাদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে থাকে।
রাণী পেটের পণ্য সমাহারের মধ্যে রয়েছে- থার্মো পণ্য যেমন- বিভিন্ন আকারের চা, কফি, জুস ও পানির কাপ, পিপি রোল, পেট রোল, বিস্কুট-কেক বক্স, ট্রে, বক্স ঢাকনী, পিএস রোল, ফাস্টফুড ও লাঞ্চ বক্স, প্লেট, কারী বক্স, থিন ওয়াল বিশিষ্ট চারকোনা, গোলাকার ও ফ্লাট বক্স সহ প্রিন্টিং প্যাকেজিং এর যাবতীয় সব কিছু উৎপাদন ও রপ্তানী করে রাণী ইন্ডাস্ট্রিজ। ঢাকার কেরাণীগঞ্জ বিসিক এলাকার রোহিতপুরে এর কারখানা এবং অফিস অবস্থিত।
হাজী রমজান শরীফ রাজীব এই কোম্পানীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার সাথে কথা বলে জানা যায়- “উৎপাদন সক্ষমতা ৯৫-১০০% নিশ্চিত করতে রাণী ইন্ডাস্ট্রিজ ইতিমধ্যে রোবোটিং প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করেছে। যে পণ্যগুলো প্রস্তুত হয়, সেগুলো ওয়ান-টাইম হলেও খুব টেকসই এবং বিদেশে রপ্তানীমুখী কিছু আইটেম পুরোপুরি ওভেন-প্রুফ।” তিনি আশা প্রকাশ করেন- “প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি আরও উন্নত হবে যদি রিসাইকেল ব্যবস্থাপনাকে আমাদের দেশে গুরুত্ত্ব দেওয়া যায়। সরকার সুনজর দিলে এবং ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ শতভাগ নিশ্চিত করলে এই খাতে উন্নতি অবশ্যম্ভাবী, দেশের জিডিপিতে অবদান রাখা সম্ভব হবে।”