কমেক্স সিঙ্গাপুর প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং (হালকা প্রকৌশল) শিল্পের প্রসারে শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক প্রদর্শনী ‘কমেক্স সিঙ্গাপুর ২০২৫’-এ অংশ নেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের উন্নয়ন ও প্রসারে ১৩-১৬ মার্চ চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সিঙ্গাপুরের সানটেক সম্মেলন ও প্রদর্শনী কেন্দ্রের ৪০৩ ও ৪০৪ নম্বর হলে ‘মিট বাংলাদেশ’ শিরোনামের ৮৪০৩ নম্বর বুথে বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব করে লাক্সফো, বগুড়া মোটরর্স, লুমেন, ডাটা সফট ম্যানুফ্যাকচারিং এবং ট্রিপল এস ইলেকট্রনিক্স।
লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং হলো একটি বিস্তৃত শিল্প খাত, যেখানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ এবং সরঞ্জাম তৈরি করা হয়। এ খাতে মূলত ধাতু বা অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করে ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ উৎপাদন করা হয়, যা বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহৃত হয়। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এর মধ্যে যেসকল পণ্য তৈরি হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ, অটোমোবাইল যন্ত্রাংশ, নির্মাণ সামগ্রী, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, পাম্প ও মোটর, বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহৃত ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ প্রভৃতি। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাত দেশের কৃষি, নির্মাণ এবং অটোমোবাইল শিল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোর অগ্রগতিতে অবদান রাখছে। এছাড়া, প্রায় আট লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি, স্থানীয় উৎপাদন ও আমদানি ত্বরানিত্ব করা, বৈদেশিক মুদ্রা আয় এবং অন্যান্য শিল্পের উন্নয়নে ক্রমেই সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে – EC4J) প্রকল্পের উদ্যোগে বাংলাদেশের চামড়া, ফুটওয়্যার ও চামড়াজাত পণ্য, এমপিপিই, প্লাস্টিক, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের পণ্য প্রভৃতি বহির্বিশ্বে প্রদর্শনের লক্ষ্যে ‘মিট বাংলাদেশ সোর্সিং শো – এমবিএস’র উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ইসিফোরজে – EC4J প্রকল্পের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশকে একটি বিশ্বাসযোগ্য সোর্সিং গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরার মাধ্যমে সম্ভাবনাময় খাতগুলোর জন্য রপ্তানি বাজারের সংযোগ জোরদার করা। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের পণ্যের সম্প্রসারণে EC4J-এর উদ্যোগে ‘কমেক্স সিঙ্গাপুর ২০২৫’ প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, এ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের কারণে বাংলাদেশের লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের রপ্তানি বাজারের সাথে সংযোগ জোরদার হওয়ার পাশাপাশি, দেশের উৎপাদন খাতের উন্নতি ও বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া, এ প্রদর্শনী বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের উপস্থিতি জোরদার করবে এবং বাংলাদেশকে একটি আকর্ষণীয় সোর্সিং গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।