স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এয়ারলাইন্সের প্রথম আঞ্চলিক ট্রেজারি সেন্টার (RTC) প্রতিষ্ঠার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাথে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব ঘোষণা করেছে। এই উদ্যোগটি বিমানের আর্থিক রূপান্তরের যাত্রায় একটি বড় মাইলফলক চিহ্নিত করে এবং অপারেশনাল উৎকর্ষের প্রতি তার প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেয়। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের অত্যাধুনিক হোস্ট-টু-হোস্ট (H2H) সমাধান দ্বারা চালিত, আরটিসি আন্তর্জাতিক বাজারে বিমানের ট্রেজারি কার্যক্রমকে কেন্দ্রীভূত করবে যেখানে এটি পরিচালনা করে, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের অনন্য গ্লোবাল নেটওয়ার্ক এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও ডঃ মোঃ শফিকুর রহমান বলেন, “স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের সহযোগিতায় আমাদের প্রথম আঞ্চলিক ট্রেজারি সেন্টারের প্রতিষ্ঠা বিমানের আর্থিক আধুনিকীকরণের যাত্রায় একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক চিহ্নিত করে। আমরা আমাদের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি অব্যাহত রেখে এই কৌশলগত সম্পর্ককে আরও গভীর করার অপেক্ষায় রয়েছি।”
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার নাসের এজাজ বিজয় বলেন, “আমরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাথে তাদের প্রথম আঞ্চলিক ট্রেজারি সেন্টার চালু করার জন্য অংশীদার হতে পেরে গর্বিত – আর্থিক দক্ষতা এবং স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানোর দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ৷ স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডে, আমরা উদ্ভাবনী, প্রযুক্তি-চালিত সমাধানগুলি সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা আমাদের জাতীয় প্রবৃদ্ধিকে সহায়তা করার জন্য অনন্য বৈশ্বিক সমাধান প্রদান করে৷ সীমানা।”
এই কৌশলগত একীকরণ ডিজিটাল রূপান্তর গ্রহণে জাতীয় ক্যারিয়ারকে সমর্থন করার জন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের প্রতিশ্রুতিকে শক্তিশালী করে। 50 টিরও বেশি দেশে ক্রিয়াকলাপ সহ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বৈশ্বিক তারল্য এবং অর্থপ্রদান প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে বিমানের জন্য একটি বিশ্বস্ত অংশীদার। এই H2H সমাধানটি সম্পূর্ণরূপে স্বয়ংক্রিয়, রিয়েল-টাইম পদ্ধতির কাছাকাছি আনবে যা অর্থপ্রদান এবং পুনর্মিলনকে স্ট্রীমলাইন করে, ম্যানুয়াল হস্তক্ষেপ কমায়, অপারেশনাল দক্ষতা বাড়ায় এবং ঝুঁকি কমায়। এক প্ল্যাটফর্মের অধীনে মাল্টি-মার্কেট ক্যাশ ম্যানেজমেন্টকে একীভূত করার মাধ্যমে, কেন্দ্রীভূত ট্রেজারি মডেলটি অর্থপ্রদানের কার্যপ্রবাহকে সহজতর করবে, আর্থিক শাসন ও জবাবদিহিতাকে শক্তিশালী করবে, তারল্যের দৃশ্যমানতা উন্নত করবে, এবং কার্যক্ষম মূলধনের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে- সবই অপারেশনাল ঝুঁকি এবং খরচ কমানোর সাথে সাথে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ, তার 120 বছরের উত্তরাধিকার নিয়ে দেশে আর্থিক পরিষেবার অগ্রগামী হিসাবে, ব্যাংকের অনন্য বৈশ্বিক পদচিহ্ন জুড়ে বিশ্বমানের আর্থিক সমাধান গ্রহণে গ্রাহকদের সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
