• ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ৩০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

২০টি প্রতারণা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মীর হাফিজুর রহমান (৪৫)’কে ঢাকা মহানগরীর পল্টন থানাধীন এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত মার্চ ১৮, ২০২৫
২০টি প্রতারণা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মীর হাফিজুর রহমান (৪৫)’কে ঢাকা মহানগরীর পল্টন থানাধীন এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩

১। এলিট ফোর্স হিসেবে র‍্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে আসছে। বর্তমান সময়ে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসী, প্রতারক চক্র, চাঁদাবাজ, ধর্ষণকারী, নৈরাজ্যকারী, অপহরণকারী, মানবপাচারকারী, ছিনতাইকারী এবং বিভিন্ন মামলার আসামিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র‍্যাব সদা সচেষ্ট।

২। এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যর ভিত্তিতে ১৭/০৩/২০২৫ তারিখ ১৮৪৫ ঘটিকার সময় ঢাকা মহানগরীর পল্টন থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২০টি প্রতারণা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মীর হাফিজুর রহমান (৪৫), পিতা- জয়নাল আবেদীন, গ্রাম- চিথলিয়া, পোস্ট- পোড়াদাহ, থানা- মিরপুর, জেলা- কুষ্টিয়াকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

৩। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গ্রেফতারকৃত হাফিজুর রহমান আর্থিকভাবে স্বচ্ছল মানুষদের লক্ষ্য করে তাদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে অধিক মুনাফা দেওয়ার কথা বলে দীর্ঘ দিন যাবৎ অবৈধভাবে আর্থিক লেনদেন করে আসছে। এছাড়াও সাধারণ মানুষের থেকে গ্রহণকৃত অর্থের মুনাফা দিতে দেরি হলে ধৃত আসামি বিভিন্ন এলাকায় পলাতক থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করে বিভিন্ন কৌশলে সময়ক্ষেপণ করতো। পরবর্তীতে গ্রাহকরা অধিক মুনাফার আশায় প্রদানকৃত টাকা ফেরত চাইলে ধৃত আসামি নিজেকে আত্মগোপন করে। তার এই কর্মকান্ডে ভুক্তভোগিরা কোন উপায় না পেয়ে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানায় একাধিক প্রতারণা ও চেক জালিয়াতির মামলা দায়ের করে। ধৃত আসামি মামলার পর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিজেকে আত্মগোপন করে। এক পর্যায়ে র‍্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল কর্তৃক গোয়েন্দা তথ্যর ভিত্তিতে আটক হয়।

৪। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।