• ১৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৭ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

৭১’র স্মৃতিচারনে জুড়ীর লাঠিটিলা সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯
৭১’র স্মৃতিচারনে জুড়ীর লাঠিটিলা সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান

মোঃ জাহিদুল ইসলাম জায়েদ :: গত শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের লাটিটিল্লা-ভারত সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে আসেন মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, গনপরিষদ সদস্য , বীরমুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান।

৭১’র রনাঙ্গনের স্মৃতিচারনে প্রস্তাবিত লাঠিটিলা সীমান্ত ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট (এলসি স্টেশন) এলাকা পরিদর্শন কালে আবেগ আপ্লুত হয়ে তিনি ফিরে যান ৪৯ বছর আগের ঘঠে যাওয়া লোমহর্ষক, যুদ্ধ ঘটনাকালীন ইতিহাসে।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, বীরমুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্তবর্তী লাটিটিল্লা এলাকার ভারতের কুকিরতল, পিয়ারা চা বাগান এলাকায় আমার নেতৃত্বে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আমরা শক্তভাবে পাক বাহিনীদের প্রতিহত করে জুড়ীর পূর্বাঞ্চল আমাদের মুক্তিবাহিনীর দখলে নেই। জুড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত আলহাজ্ব এম এ মুমীত আসুক, পুর্বজুড়ীর বড়ধামাইয়ের মোঃ জমির উদ্দিন, ভবানীপুরের প্রয়াত মুজম্মিল আলী মজই, পূর্ব গোয়ালবাড়ীর প্রয়াত ডাঃ তজমুল আলী, লাটিটিল্লার প্রয়াত শহীদ আকবর আলী মইটা, আব্দুল গনি, মকবুল আলী সহ স্থানীয় সহযোদ্ধাদের নিয়ে আমরা এ অঞ্চল স্বাধীন করি। শত্রুুমুক্ত করি জুড়ীকে।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান এ সময় গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের কচুরগুল ও লাঠিটিলা গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ৭১’র স্মৃতি বিজড়িত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্মরণ করে যুদ্ধকালীন বিভিন্ন ঘঠনা বর্ননা করেন। গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহাব উদ্দিন আহমদ লেমন সাংবাদিকদের জানান, দেশ স্বাধীনের পর দীর্ঘ দিন যাবত সীমান্তবর্তী উক্ত লাঠিটিলা এলাকা নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যেকার বিরোধ চলে আসছিলো। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ছিটমহল সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির আওতায় লাঠিটিলা ও ডোমাবাড়ী এলাকা আন্তঃজরিপ করে দু’দেশের মধ্যেকার সীমানা নির্ধারণ করা হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন লেমন আরো বলেন, এ অঞ্চলবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবী লাঠিটিলা সীমান্তে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট (এলসি স্টেশন) নির্মানের। জুড়ী উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কি. মি. দূরে অবস্থিত প্রস্তাবিত ল্যান্ড কাস্টমের অবস্থান। বর্তমান সাংসদ বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রী আলহাজ্ব শাহাব উদ্দিন এমপি হুইপ থাকাকালীন সময়ে উক্ত কাজের ডিও লেটার দেন।

কিন্তু আজ ৬/৭ বছর পেরিয়ে গেলেও এ নিয়ে কোন কাজ হয়নি। তাই আমাদের জুড়ী-বড়লেখার উন্নয়নের নয়নমনি, বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রী মহোদয় সহ নৌ পরিবহন মন্ত্রী এবং মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নিকট বৃহত্তর এ অঞ্চলবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবী লাঠিটিলা সীমান্তে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট (এলসি স্টেশন) নির্মানের। ল্যান্ড কাস্টমস নির্মানের ফলে দু’দেশের মধ্যেকার ব্যবসায়ীদের জন্য আমদানি-রপ্তানীতে আরো সহজতর ও ভালো ভূমিকা রাখবে। বাড়বে দেশের রেভিনিউ। ১৯৯৮ সালে জুড়ীর অপর সীমান্তে রাঘনা-বটুলী চেকপোস্ট দিয়ে ভারতীয়রা ভিসা নিয়ে আসলে ও বাংলাদেশীরা ভিসা নিয়ে এ রোটে চলাচলের সুযোগ নেই। উপজেলা সদর থেকে এ চেকপোস্টের দুরত্ব প্রায় ২৩ কিলোমিটার।

চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন লেমন আরো বলেন, এ রুট চালু হলে দু’দেশের মধ্যেকার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ, নিরাপদ ও আরামদায়ক হবে এবং আসামের সাথে সীমান্ত এলাকার দুরত্ব ২০ কি.মি. এর কম লাগবে এবং ফুলতলা বটুলী চেকপোস্ট দিয়ে আমদানি রপ্তানি করা গেলেও ভিসা নিয়ে ও এ রোটে যাওয়া আসা বন্ধ। জুড়ী উপজেলা সদর থেকে এ সীমান্ত এলাকা দিয়ে আসামের দুরত্ব প্রায় ৪৫ কি.মি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) খুদেজা খাতুন, জুড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা বদরুল হোসেন, জুড়ী উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জুড়ী রঞ্জিতা শর্মা, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের সদস্য বদরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের সদস্য হাসান আহমেদ জাবেদ, আজিম উদ্দিন, জুবেদা ইকবাল, জুড়ী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাশ, গোয়ালবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহাব উদ্দিন আহমদ লেমন সহ মৌলভীবাজার জেলার সরকারী উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগন। এছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা আবুল হোসেন লিটন, জুড়ী উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ্ আলম, জহিরুল ইসলাম সহ প্রিন্ট ও অনলাইন সাংবাদিকবৃন্দ।

May 2025
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31