পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ নির্দেশনায় সারা দেশে পরিবেশ অধিদপ্তর ০২ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত বিভিন্ন দূষণ বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে। এ সময় ২০৪টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৫৩৩টি মামলায় ৭,৮৭,২৬,৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ৮৮টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। ৫৬টি ইটভাটা বন্ধে নির্দেশনা দেওয়া হয়। ৭টি ভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। ৫টি প্রতিষ্ঠানের ৬টি ট্রাক সীসা/ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানা বন্ধ করা হয়।
এছাড়াও, গত ০৩ নভেম্বর ২০২৪ হতে এ পর্যন্ত সমগ্র বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাত করার দায়ে ২৬৯টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে ৫৩৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট =৩৮,৫৫,৪০০/-(আটত্রিশ লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার চারশত) টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায়সহ আনুমানিক ৯৯,১৩২ কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন জব্দ করা হয় এবং ৮টি পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিলগালা করে দেওয়া হয়।
২৩ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, নারায়ণগঞ্জ, মেহেরপুর ও ঢাকায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এতে ৪০টি মামলায় ১,১০,৫০,০০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ৮ জন মালিককে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ১টি ইটভাটার কিলন ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। ১৭টি ইটভাটা বন্ধে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাত করার অভিযোগে সুনামগঞ্জ, চট্টগ্রাম, বরিশাল, ময়মনসিংহসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ১১টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এতে ২১টি মামলায় ৮৭,৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ১,৬৬১ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়। সচিবালয় ও নিউমার্কেট এলাকায় সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করা হয়।
ঢাকার রমনা এলাকায় কালো ধোঁয়া নির্গমন বিরোধী অভিযানে ৬টি মামলায় ১২,০০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ৯ জন চালককে সতর্ক করা হয়।
খিলগাঁও, শাহজাহানপুর, গুলশান ও মোহাম্মদপুর এলাকায় নির্মাণ সামগ্রীর কারণে বায়ুদূষণের অভিযোগে ৬টি মামলায় ৪৭,০০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
পাবনায় চারকোল কারখানার বায়ুদূষণের দায়ে ১টি মামলায় ১,০০,০০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
শেরপুরে শব্দদূষণ বিরোধী অভিযানে ২টি গাড়ির চালককে ৩,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ৭টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের দূষণ বিরোধী অভিযান নিয়মিতভাবে চলবে।