মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকারের জরিমানা আদায়
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকারের জরিমানা আদায়
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত অক্টোবর ৬, ২০২০
সিরাজুল ইসলাম :: জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সার্বিক নির্দেশনা এবং জেলা প্রশাসক, মৌলভীবাজারের তত্ত্বাবধানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয় এর সহকারী পরিচালক মো: আল আমিন এর নেতৃত্বে শেরপুর ফাঁড়ির পুলিশ ফোর্সের সহযোগিতায় আজ সোমবার (০৫ অক্টোবর) মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর, আফরোজগঞ্জ বাজার, পোষ্ট অফিস রোড, শেরপুর আবাসিক এলাকা, সিলেট রোড, বিশ্বরোডসহ বিভিন্ন জায়গায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর প্রতিষ্ঠান, ফার্মেসী এবং অন্যান্য দোকানে মনিটরিং ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। উক্ত তদারকি অভিযানে মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রসাধনী বিক্রয় করা, অতিরিক্ত দামে খাদ্য পণ্য বিক্রয় করা, মূল্য তালিকা না রাখা, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নির্দেশ না মেনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জীবানুনাশক স্প্রে বিক্রয় করা, পণ্যের প্যাকেটের গাঁয়ে মূল্য না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে আফরোগঞ্জ বাজারে অবস্থিত মিহির ফার্মেসীকে ২ হাজার টাকা, পোষ্ট অফিস রোডে অবস্থিত তাপস ভেরাইটিজ ষ্টোরকে ২ হাজার টাকা, প্রিয়জন ষ্টোরকে ২ হাজার টাকা, শেরপুর আবাসিক এলাকায় অবস্থিত শাহরিন এন্টারপ্রাইজকে ৫ শত টাকা জরিমানা আরোপ ও তা আদায় করা হয়।
আজকের অভিযানে মোট ৪ টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ৬ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা ও তা আদায় করা হয়। পেঁয়াজ, রসুন, আদা, চাল, তেল, শাক-সবজি, কাচামাল, মশলাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী ন্যায্য মূল্যে প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং ভোগ্য পণ্য সামগ্রীর দাম যেন কেউ অনৈতিক ভাবে বাড়াতে না পারে এবং নকল হ্যান্ড সেনিটাইজার ও নিম্ন মানের সংক্রমণরোধী জীবাণুনাশক বিক্রয় না করতে পারে সেই লক্ষ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং কার্যক্রম চলমান থাকবে। ” ধুমপান নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা” মৌলভীবাজার জেলা সদরে একই দিনে জেলা প্রশাসক ও বিঞ্জ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মীর নাহিদ আহসান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, বিঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট তানিয়া সুলতানার নির্দেশনা মোতাবেক বিকাল ৪ টায় সদর উপজেলার সরকারবাজারে ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার আইনে ২০০৫ এর ৪ ধারা মোতাবেক এবং অত্যবশকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৫৬ এর ২(গ) ধারায় সহকারী কমিশনার ও বিঞ্জ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট সানজিদা রহমান ও আসমাউল হুসনা ৭ জনকে পৃথক ৭ টি মামলায় সদর থানার একদল পুলিশের সহযোগিতায় ৮৭০০/- টাকা অর্থদন্ড ও আদায় করা হয়।