মৌলভীবাজারের বড়লেখায় যুবলীগ নেতা আলী হোসেনকে (৩৮) পিটিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুন্দরের ভাতিজা রিহান আহমদ (২২)। ১১ অক্টোবর রাত সাড়ে ৭টার দিকে পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আহত আলী হোসেন রিহান আহমদকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও ২০/৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার ৭টার দিকে শহরের ফ্যামিলী বাজার ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের সম্মুখে রিহান দলবল নিয়ে যুবলীগ নেতা আলী হোসেনের পথরোধ করে। এরপর রিহান ও তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্রসহ আলী হোসেনের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মোটরসাইকেল ভাংচুর। এসময় আলী হোসেনকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে তারা। একপর্যায়ে তারা আলী হোসেনের কাছ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, মোবাইল সেট নিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
আহত যুবলীগ নেতা আলী হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘তারা পরিকল্পিতভাবে আমার উপর হামলা করেছে। এসময় তারা আমার মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আড়াই লাখ টাকা নিয়ে যায়। হামলাকারি রিহান কিশোর গ্যাং চালায়। সে তার চাচা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর ও যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনের আসকারা পেয়ে এটা করছে। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি।’
এই বিষয়ে রিহান আহমদ বলেন, ‘ঘটনার দিন সন্ধ্যা পরে আমি এবং আমার কয়েকজন বন্ধু মিলে নানা বাড়ি যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে বড়লেখা ফ্যামিলী বাজার ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের সম্মুখে গেলে আলী হোসেন আমার গতিরোধ করে শার্টের কলার ধরে মোটরসাইকেল থেকে নামালে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর আমার সাথে থাকা বন্ধুরা তাকে মারধর করে।’
এ ব্যাপরে বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
মো মাইনুল ইসলাম / দৈনিক হাকালুকি