৫ ই অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস। এই দিবসটি পৃথিবীর সবকয়টি দেশেই যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিক্ষকদের যে অবকাঠামোগত এবং মানগত উন্নয়ন সেই দিকটিই এই দিবসে প্রধানত আলোচিত হয়ে আসছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে শিক্ষকদেরকে যেভাবে মূল্যায়ন করা হয় ঠিক সেই ভাবেই যেনো বাংলাদেশে শিক্ষকদের মান উন্নত করার জন্য বিশ্বব্যাংক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহযোগীতায় পরিচালিত হয়ে আসছে সেসিপ(সেকেন্ডারি এডুকেশন সিস্টেম ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম)। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই প্রোগ্রামটি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় জেলা কো-অর্ডিনেটর, উপজেলায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা সুপারভাইজার নিয়োগ, সরকারি/বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক হাতে কলমে প্রশিক্ষন, বিদ্যালয়ে/কলেজে/মাদ্রাসায় কমপিউটার ল্যাব স্থাপন, প্রতিষ্ঠানসমূহের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিজ্ঞানাগার স্থাপন সহ অসংখ্য সফল কাজ করে আসছে সেসিপ।
তারই ধারাবাহিকতায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহের শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য গণিত, ইংরেজি এবং বিজ্ঞান বিভাগে সর্বশেষ রিসোর্স টিচার(আরটি) নিয়োগ প্রদান করে সেসিপ। ২০১৮ সালে সরকারি নিয়োগ বিধিমালার অনুসরণে সেসিপ শিক্ষামন্ত্রণালয়ের অধীনে সারা বাংলাদেশের ১৪৮ টি উপজেলায় ১০০০ জন আরটি(রিসোর্স টিচার) নিয়োগ প্রদান করে। আরটি নিয়োগ প্রদানের পর থেকে কর্মরত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহে রিসোর্স টিচাররা নিরলস পরিশ্রম করে শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য। মাঠ পর্যায়ে এই এক হাজার আরটি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ অভিভাবক এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানসমূহের মন জয় করেন। সেই সাথে প্রতিষ্ঠান সমূহের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলেও আসে বিশাল পরিবর্তন।
সুনামের সাথে কাজ করে যাওয়া এই শিক্ষকগণ প্রোগ্রাম মেয়াদের বেঁধে দেয়া সময়ে তাদের কর্মদক্ষতা দেখাতে সক্ষম হয়েছেন। এই এক হাজার তরুণ, মেধাবী, সৃজনশীল, পরিশ্রমী শিক্ষক দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসমূহে পাঠদানের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী এই মহামারীতে “রিসোর্স টিচার অনলাইন স্কুল”-এ নিয়মিত পাঠদান করে আসছেন যা শিক্ষামন্ত্রণালয় সহ বাংলাদেশের শিক্ষাবিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবহিত আছেন।
৫ অক্টোবর ” বিশ্ব শিক্ষক” দিবসে এই তরুণ, মেধাবী, সৃজনশীল, পরিশ্রমী শিক্ষকদের কে স্থায়ীকরণ হোক মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।
লেখকঃ সিরাজুল ইসলাম জসিম