মনিরুল ইসলাম :: ফাহমিদা ইয়াসমিনের লন্ডনে চাষ করা দেশি কদু (লাউ), কাঁচা মরিচ, নাগা মরিচ, ডাটা, উড়ি(শিম), মিষ্টি কুমড়া, আলু, পটল, লাই শাক, ধনিয়া পাতা এসবের সবজি বাগান এক সাফল্যগাথার নাম।
প্রবাসীদের কাছে দেশীয় সবজির কদর থাকলেও অনেকেই এর স্বাদ থেকে বঞ্চিত হন। মূলত স্থানীয়দের খাবারের তালিকায় না থাকায় বেশির ভাগ দেশেই বাংলাদেশি সবজি চাষ হয় না বললেই চলে। তাই বাংলাদেশীদের নির্ভর করতে হয় দেশ থেকে আসা শাকসবজির ওপর। কিন্তু বেশি দামের কারণে সবার পক্ষে তা কিনে খাওয়া সম্ভব হয় না।এ কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশী লন্ডন প্রবাসী নারী ব্যক্তিগত উদ্যোগে লন্ডনের সিড কাপ (Sidcup UK) এ নিজ বসতের পাশেই গড়ে তুলেছেন সবজি বাগান। শখের বশে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করেছেন বাংলাদেশী বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি। আবাদি জায়গায় প্রাথমিকভাবে শখ করে এ মৌসুমে চাষ করেছিলেন দেশি লাউ, শাক, মিষ্টি কুমড়া সহ নানা ধরনের সবজি। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। নিজের কষ্টে চাষ করা সবজি বাগানে সবজির ভালো ফলন দেখে ফাহমিদা ইয়াসমিনের যেন আনন্দের শেষ নেই। প্রতিদিনই নিজের চাষ করা সবজি বাগান থেকে সবজি নিয়ে রান্না করে মনের তৃপ্তি মেটাচ্ছেন। নিজের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এ সফল নারী প্রবাসী এসব সবজি বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বিলিয়েছেন। স্থানীয়দের কাছে ফাহমিদা ইয়াসমিনের চাষ করা এসব সবজি অপরিচিত হলেও প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে উৎপাদিত এসব সবজি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। দেশীয় স্বাদ পেতে অনেকেই ফাহমিদা ইয়াসমিনের সবজি চাষ দেখতে ও নিজে চাষ করতে উদ্যোগী হচ্ছেন। ফাহমিদা ইয়াসমিন বলেন, বাংলাদেশে সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার কলিমাবাদে (কাপন বাড়ি) শহরে আমার বাড়ি। দেশে থাকা অবস্থায় দেশীয় সবজি চাষে আমার বেশ আগ্রহ ছিল। লন্ডনে বাবা-মার সাথে এসেছি। লন্ডনে বসবাস শুরু করার পাশাপাশি দেশীয় সবজি চাষে আমার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। এখানে সার বা পানির তেমন সমস্যা নেই। মাটি খুবই উপযোগী সবজি ফলনের জন্য। তাই বাংলাদেশি যে কেউ ইচ্ছে করলে সবজি চাষ করতে পারেন। এতে দেশীয় শাক-সবজির স্বাদ পাওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সবজি বাগানে আমার স্বামী ও আমি একসাথে মিলে কাজ করি। আসলে পরিবারের সকলে মিলে একটু চেষ্টা করলেই প্রবাসে বসে দেশীয় সবজির স্বাদ পাওয়া অসম্ভব নয়।
বার্তা ডেস্ক / দৈনিক হাকালুকি