শিশিরঝরা হেমন্তের ঘনঘোর অমাবস্যা তিথিতে বড়লেখার হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামগুলো দীপাবলির আলোকে উদ্ভাসিত হয়েছে। শনিবার (১৪ নভেম্বর) মহা দীপাবলি উৎসব ও শ্যামাপূজা। তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দুর্গাপূজার মতোই সারাদেশে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ ধর্মীয় উৎসবটি উদযাপিত হচ্ছে।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য রাতে মণ্ডপে মণ্ডপে শ্যামা পূজা আয়োজিত হবে। প্রসাদ বিতরণ, আরতি, ধর্মীয় সঙ্গীত, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোকসজ্জা কর্মসূচিও রয়েছে। একই সঙ্গে সন্ধ্যায় মন্দির, মণ্ডপ ও হিন্দুদের ঘরে ঘরে দীপাবলী উদযাপনে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়েছে।
বাংলায় ‘দীপাবলি’, হিন্দিতে ‘দিওয়ালি’-যার অর্থ প্রদীপের সারি। যে প্রদীপের আলোয় দূর হয় সকল অশুভ শক্তি, ঘটে শুভ শক্তির আবির্ভাব। তাই এটা প্রদীপ জ্বালানোর সেই উৎসব। হিন্দু ধর্মশাস্ত্রমতে, কালী হচ্ছেন অগ্নির সপ্তম জিহ্বা আর অগ্নি হচ্ছেন স্বয়ং ঈশ্বর, যা কালী বা শ্যামা নামে ভক্তদের কাছে উপস্থিত হন। মাতৃ আরাধনার আরেক রূপ হচ্ছে শ্যামাপূজা।
দীপাবলি হচ্ছে এই পূজার অন্যতম আকর্ষণ। অন্ধকার বিনাশের প্রত্যাশায়ই ঘরে ও মন্দিরে প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়। হিন্দু বিশ্বাসে, এ প্রদীপের আলো যতদূর পর্যন্ত যায়, ততদূর পর্যন্ত কোনো অশুভ শক্তি আসতে পারে না।
বড়লেখা উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন বিশেষ করে ২ নং দাসের বাজার ইউনিয়মের গুলুয়া গ্রাম এবং ৭ নং তালিমপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার ছিল দিপাবলীর প্রধান আকর্ষণ।
দাসের বাজার ইউনিয়নের গুলুয়া গ্রামে গুলুয়া যুব সংঘের আয়োজনে গত ৭ বছরের ন্যায় এবারও প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে মঙ্গলদ্বীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। গুলুয়া গ্রামের মঙ্গলদ্বীপ আলোকসজ্জার অন্যতম উদ্যাক্তা সুমিত দাস বলেন “আমাদের এ আয়োজন হয়ে আসছে অনেক বছর ধরে। পৃথিবীর মঙ্গল তথা আমাদের সবার মঙ্গল কামনায় আমাদের বিশেষ করে এ আয়োজন। “গুলুয়া যুব সংঘ” এর আয়োজনে এ দীপাবলি প্রজ্জলন উৎসব। দীপাবলির আলোতে সবার জীবন উজ্জীবিত হোক এটাই আমাদের কাম্য।”
আর ডি / হাকালুকি