• ২৪শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১০ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

অবৈধ করাত কল অপসারণের দাবিতে জুড়ীতে সংবাদ সম্মেলন

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত অক্টোবর ১১, ২০২০
অবৈধ করাত কল অপসারণের দাবিতে জুড়ীতে সংবাদ সম্মেলন


নিজস্ব প্রতিবেদক :: জুড়ীতে পরিবেশ ও বনে বিনষ্টকারী অবৈধ করাতকল অপসারণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। রোববার দুুপুরে জুড়ী উপজেলা প্রেস ক্লাবে উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের হামিদপুুর গ্রামের বাসিন্দা লুজু খান জনস্বার্থে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, হামিদপুরর গ্রামের মৃত হাছন খান এর পুত্র আব্দুল লতিফ খান স্থানীয় মানিকসিংহ বাজার সংলগ্ন রেল সেতুর নিকটে রেলওয়ের জায়গায় ২০১২ সালে অবৈধ ভাবে একটি করাত কল স্থাপন করে পরিচালনা করছেন। যা পরিবেশ ও বনে বিভাগের জন্য মারাত্বক ক্ষতির কারণ। তিনি করাত কলের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করলে বিগত ২৮/০২/২০১৫ তারিখে সিলেট বন বিভাগের জুড়ী রেঞ্জ অফিসার মো: মোখলেসুর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে তাঁকে অবগত করেন- উপজেলা এলজিডি-র উপজেলা ম্যাপ পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং সরেজমিন নিরীক্ষান্তে দেখা যায় যে, আপনার অবৈধভাবে স্থাপিত করাতকলটি পূর্ব গোগালী সরকার সংরক্ষিত বনান্ঞ্চল হইতে ৬.৫০ কি:মি: দুরত্বে অবস্থিত। করাতকল লাইসেন্স বিধিমালা ২০১২ এর ৭(ক) দ্বারা মোতাবেক সংরক্ষিত বন হইতে ১০ কি:মি: দুরত্বের মধ্যে করাতকল স্থাপনে লাইসেন্স প্রদান নিষিদ্ধ। এমতাবস্থায় উল্লেখিত স্থানে অবৈধভাবে আপনার স্থাপিত করাতকলের লাইসেন্স প্রদান করা যাইবে না। অবৈধভাবে স্থাপিত করাতকলটি বন্ধ রাখার জন্য আপনাকে বলা হইল।
এর পরেও তিনি অবৈধভাবে করাতকল পরিচালনা করছেন। তাঁর মালিকানাধীন এস এ দাগ নং ৯৩৩৩ হাল ১১৬৮৬ দাগে ০.০৭ শতাংশ জায়গায় করাতকল অবস্থানের কথা উল্লেখ করলেও বাস্তবে এস এ দাগ নং ৯৩৩৬ হাল ১১৬৮৩ দাগে রেলওয়ের ভূমিতে অবৈধভাবে করাতকল স্থাপন করেন। এবিষয়ে গত ১৯/০৮/২০২০ তারিখে সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দিলে এদিনই তিনি পত্র প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে সরেজমিন তদন্ত করত: মতামতসহ বিস্তারিত তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য সহকারী বন সংরক্ষক, শ্রীমঙ্গলকে লিখিত দায়িত্ব প্রদান করেন। কিন্তু প্রায় দুই মাস হয়ে গেলেও এখনো তিনি এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেননি।
সংবাদ সম্মেলনে এলাকার বাসিন্দা ফয়াজ মিয়া, মামুনুর রশীদ, বাবুল খান, রাজু খান, আব্দুর রাজ্জাক, ফারুক খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

জানতে চাইলে করাতকল মালিক আব্দুল লতিফ খান রেলওয়ের ভূমিতে করাতকল স্থাপনের কথা স্বীকার করে বলেন, জায়গাটি আমার নামে ইজারা আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে সিলেট বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক, শ্রীমঙ্গল মো: আবুবকর সিদ্দিক বলেন, পত্রটি ১০/১৫ দিন পরে পেয়েছি। আমি একা তিন জেলার দায়িত্ব পালন করি। তাছাড়া এখানে একজন মাত্র সার্ভেয়ার রয়েছেন। এ কারণে দেরী হচ্ছে। তবে উভয় পক্ষকে চিঠি দিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠাবো।

এসআই / হাকালুকি

March 2025
S S M T W T F
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031