• ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২রা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

জুড়ীতে ইউএনও-স্যানিটারি কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারকচক্রের টাকা দাবি

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত নভেম্বর ১, ২০২০
জুড়ীতে ইউএনও-স্যানিটারি কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারকচক্রের টাকা দাবি

স্টাফ রিপোর্টার :: মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ইউএনও-স্যানিটারি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারকচক্র মুঠোফোনে ব্যবসায়ীর কাছে টাকা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার বিকালে এ ব্যাপারে জুড়ী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

ব্যবসায়ী ও জিডি সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর ১২ টা ১৮ মিনিটে উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য জামাল উদ্দিন সেলিম তার ফোন দিয়ে ফুলতলা বাজারের মিষ্টি ব্যবসায়ী আশিষ চক্রবর্তীকে (৪৫) স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের সাথে কথা বলার জন্য বলেন। তিনি কথা বলতে শুরু করলে অপরপ্রান্তে থাকা লোক নিজেকে স্যানিটারি অফিসার পরিচয় দিয়ে তার মিষ্টির দোকানে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে বলে জানান। আশিষ তাকে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তিনি বলেন ইউএনও তাকে বলবেন। কিছুক্ষণ পর স্যানিটারি অফিসার পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি নিজের ব্যবহৃত মুঠোফোন ০১৭৮১১৮২৫০৩ নম্বর দিয়ে আশিষের ফোনে ফোন করে জানান ইউএনও তাকে ফোন দিবেন এখন। কিছুক্ষণ পরে আরেকটি মুঠোফোন নাম্বার ০১৭৩১৫৯৯৪৬৬ দিয়ে আরেক ব্যক্তি ইউএনও পরিচয় দিয়ে বলেন ১ ঘণ্টার মধ্যে জরিমানার ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করলে উক্ত ব্যক্তি তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলেন। এসময় তিনি ফোন কেটে দিয়ে জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল ইমরান রুহুল ইসলামকে ফোন করে বিষয়টি জানালে এটা তার মুঠোফোনের নাম্বার নয় জানিয়ে তিনি বলেন তার নাম ব্যবহার করে হয়তো এলাকার কোন প্রতারক চক্র ফোন দিয়েছে। পরবর্তীতে শনিবার বিকেলে আশিষ চক্রবর্তীর চাচাতো ভাই কামনাশীষ চক্রবর্তী জুড়ী থানায় এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন জানান, আমি বাগানের একটি মিটিং এ ছিলাম। এসময় এক ব্যক্তি আমাকে ফোনে ইউএনও পরিচয় দিয়ে আমার এলাকার মিষ্টির দোকানের মালিকদের সাথে জরুরি ভিত্তিতে কথা বলতে চান। পরবর্তীতে আমি বাজারে এসে মিষ্টির দোকানের মালিকদের সাথে আমার ফোন দিয়ে কথা বলিয়ে দেই। এ সময় ঐ ব্যক্তি তাদের সবার কাছ থেকে তাদের নাম্বারও নেন। বাড়িতে আসার পরে জানতে পারি এটা প্রতারক চক্র সাথে সাথে নাম্বারটিতে ফোন দিয়ে বন্ধ পাই। তিনি বলেন, আপন মিষ্টি ঘরের মালিক আব্দুল বারি প্রতারকচক্রের ফাঁদে পড়ে বিকাশে এক হাজার টাকা দিয়েছেন। জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, এ ব্যাপারে জিডি করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান রুহুল ইসলাম বলেন, কয়েকজনের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি প্রতারক চক্র আমার নাম ব্যবহার করে টাকা দাবি করছে, তাদেরকে থানায় জিডি করতে বলেছি।

সিরাজুল ইসলাম / দৈনিক হাকালুকি