স্টাফ রিপোর্টার :: মৌলভীবাজারের জুড়ীতে প্রেমের ফাঁদে পড়ে অভিমানের জের ধরে দশম শ্রেনীর এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল ১০ টা ৫০ মিনিটে জুড়ী উপজেলার সোনারুপা চা বাগানে।
জানা যায়, পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের উত্তর কালাছড়া গ্রামের নগেন্দ্র চন্দ্র পালের মেয়ে ছোট ধামাই উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাধবী চন্দ্র পাল (১৬) ছোট বেলা থেকে সোনারূপা চা বাগানে তার চাচা দিলীপ চন্দ্র পাল এর বাড়ীতে থেকে লেখাপড়া করে আসছে।
সরজমিনে জানা যায়, সকাল আনুমানিক ১০ টা ৫০ মিনিটে মাধবীর চাচী স্কুল শিক্ষিকা তাঁর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছিলেন। এমন সময় মাধবী ঘরের একটি কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে খাট ও চেয়ারের সাহায্যে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস পরে আত্নহত্যা করে। বাচ্চারা খেলার সময় জানালা দিয়ে মাধবীর মরদেহ ঝুলতে দেখলে চিৎকার চেচামেচিতে ঘটনাটি মূহুর্তেই জানাজানি হয়। ঘটনাটি সাথে সাথে জুড়ী থানা পুলিশকে অবগত করলে জুড়ী থানার এসআই সৈয়দ আব্দুল মান্নান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রেরন করেন। তদন্তের বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের পুর্নাঙ্গ তদন্ত সময়মত প্রকাশ করা হবে।
লাশ উদ্ধার কালে মাধবীর পাশে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। পুলিশ মোবাইল ফোনটি জব্দ করে। আত্মহত্যার বিষয়ে স্থানীয় কেউ এর কোন সঠিক কারন বলতে পারেননি। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক দুয়েক জন বিষয়টি প্রনয় ঘটিত আবেগের কারণে হতে পারে বলে জানিয়েছেন। মাধবীর চাচা দিলীপ চন্দ্র পাল জানান, পারিবারিক ভাবে তার কোন সমস্যা আছে বলে জানা নাই তবে তার কাছে মোবাইল ফোন টি পাওয়ায় আমাদের সন্দেহ হচ্ছে।
বার্তা সম্পাদক / দৈনিক হাকালুকি