স্টাফ রিপোর্টার :: মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ঐতিহ্যবাহী উত্তর ভবানীপুর তরুন সংঘের আয়োজনে বরাবরের মতো শ্রী শ্রী লক্ষ্মী দেবীর বার্ষিক পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিগত ১১ বছর থেকে জুড়ীর উত্তর ভবানীপুর গ্রামে লক্ষ্মীপূজা আয়োজন করে আসছে সংগঠনটি। তবে এবার করোনা মহামারীর কারণে দুই দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান কমিয়ে এক দিনে সমাপ্ত হয়েছে। আগত সর্বস্তরের অতিথি, ভক্তবৃন্দকে নিয়ে পূজা অর্পন, প্রসাদ বিতরণ, মাস্ক বিতরণ, করোনা মহামারীতে নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন ও সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
প্রতিবছর দুর্গাপূজা শেষ হতে না হতেই লক্ষ্মীপূজা আয়োজনের ধুম পড়ে যায় উত্তর ভবানীপুর তরুন সংঘের প্রতিটি সদস্যের। তাদের একান্ত সেচ্ছাসেবায় প্রতিবছরই সফলভাবে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি। একটি রাতের জন্য দেবী দর্শনে আগত অতিথি, পুন্যার্থী ও দর্শনার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় জুড়ীর উত্তর ভবানীপুর গ্রামের বাসস্ট্যান্ড রোড। ৩০শে অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে পুজা অর্পন, প্রসাদ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খিস্টান ঐক্য পরিষদ জুড়ী উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক জুড়ী তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যাপক অরুন চন্দ্র দাশ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জুড়ী উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক জুড়ী সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিতাংশু শেখর দাশ, জুড়ী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাশ, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায়চৌধুরী মণি, বীর মুক্তিযোদ্ধা কুলেশ চন্দ্র মন্টু, তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারী কলেজের প্রভাষক কিশোর চক্রবর্তী, জুড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুভাষ দাশ, টালিয়াউরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অজয় কুমার দে, প্রথম আলো প্রতিনিধি কল্যান প্রসুন চম্পু, সাবেক ওয়ার্ড মেম্বার বিশ্বজিত দত্ত প্রমুখ। এছাড়াও নিমন্ত্রিত পুন্যার্থী, দর্শনার্থী, সেচ্ছাসেবী ও সংগঠনের সকল সদস্যবৃন্দ অনুষ্ঠানকে সফল করতে উপস্থিত থেকেছেন আর সবশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন।
এম এইচ / দৈনিক হাকালুকি