নিজস্ব প্রতিবেদক :: আজ (৫/১১/২০২০ইং, বৃহস্পতিবার) বিকাল ৪ ঘটিকার সময় কুলাউড়া উপজেলা পরিষদ হলরুমে কুলাউড়ার সিএনজি ও অটোরিক্সা চালকদের বিদ্যমান দ্বন্দ্বের সমাধান কল্পে বৈঠক অনুষ্টিত হয়।
কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যক্ষ এ.কে.এম সফি আহমেদ সলমানের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে এ বৈঠক অনুষ্টিত হয়। গতকাল সকাল থেকে কুলাউড়া শহরের প্রধান সড়কে সিএনজি ও অটোরিক্সা চালকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে গেলে উপজেলা চেয়ারম্যান সংঘর্ষস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে সুষ্টু সমাধানের আশ্বাস প্রদান করিলে পরিস্থিতি নিমিষেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আগামী রবিবার বৈঠকের দিন, সময় ধার্য্য করা হলেও যাত্রীদের মারাত্বক অসুবিধার কথা বিবেচনা করে আজ বিকালে এ বৈঠক অনুষ্টিত হয়।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ. কে.এম সফি আহমদ সলমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাওসার দস্তগীর, কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র শফি আলম ইউনুছ, কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইয়ারদৌস হাসান, সিনিয়র সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম। এছাড়া সিএনজি অটোরিকশা সমিতির পক্ষে উপজেলা শাখার সভাপতি আলী হোসেন জাহাঙ্গীর ও সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মিয়াসহ ৫ শ্রমিক নেতা এবং ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা সমিতির পক্ষে সভাপতি ইসলাম উদ্দিন আকাশ ও সাধারণ সম্পাদক ছদরুল আলমসহ ৫ জন শ্রমিক নেতা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে গাড়ী চালু করার সিদ্ধান্ত হয়। কুলাউড়া শহরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ২৫০টি চলবে, এর বেশি চললে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া পৌর শহরে সিএনজি অটোরিকশা রাস্তার দু’পাশে না রেখে রাস্তার একপাশে রাখা এবং যত্রতত্র স্থানে সিএনজি না রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাওসার দস্তগীর বলেন, সিএনজি ও অটোরিক্সা শ্রমিকদের সৃষ্ট সমস্যায় উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় ও পুলিশ প্রশাসন কঠোর থাকায় বড় ধরণের সংঘাত এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
সুধীমহলও উপজেলা চেয়ারম্যানের এমন দুরদর্শিতার
ভূয়শী প্রশংসা করেন।
আসাদুর রহমান/হাকালুকি