অনেকেই বলেন ইদানিং যে কবি অনেক রিলিজিয়াস হয়ে গেছেন। কেউ কেউ বলেন বক ধার্মিক, লোক দেখানো। করোনার ভয়ে কবি ভালো হওয়ার চেষ্টায় আছেন। অথবা ভালো সাজার……
কথা হচ্ছে, কার কাছে ভালো সাজবো? সমাজের কাছে? সমাজ তো এখন সামাজিক মাধ্যম। আরো সোজা কথায় ফেসবুক সমাজ। যে মেকি সমাজ এই সময়টাকেই পাল্টে দিয়েছে। জনে জনে লোক দেখানোর এমন প্রতিযোগীতা সৃষ্টির পর থেকে হাজার বছরের মধ্যে হয়নি। যতটা হয়েছে গত দশ বছরে। আর তা বেড়েই চলেছে। অনেকের ধর্ম, কর্ম, ধ্যান, জ্ঞান, সাধনা, সপ্ন, জনপ্রিয়তা, পুঁজি সব এখন এই এক বস্তুকে চক্র করে ঘুরছে। মহাজাতিক চক্রের সুনির্দিষ্ট নিয়মে যেমন চাঁদ পৃথিবীকে, পৃথিবী সূর্যকে, সূর্য ছায়াপথকে, আর ছয়াপথ ব্লাক হোলের চারপাশে ঘুরে চলেছে হাজার কোটি বছর ধরে। তেমনই নিয়মমতো বাঁধা তোমার জন্য নির্ধারিত সময়টুকু। মহা জাগতিক সময় বা স্রষ্টার সময়ের কাছে যে সময়টুকু চোখের একটি পলক মাত্র। সে সময়টুকুতে আমরা ছোট থেকে বড় হই, বড় থেকে বুড়ো হই। সারাজীবন মানুষের চোখে, নিজের চোখে নিজেকে বড় করে দেখার তীব্র লালসায় আক্রান্ত হয়ে যৌবনের ঘোরগ্রস্ত দিনগুলো কল্পনার চেয়ে দ্রুত কাটিয়ে একদিন নিজের ও সবার চোখে বুড়ো হয়ে যাই। অতএব ভালো সাজবো তার কাছে যিনি ভলো মন্দের পুরস্কারদাতা।
আমাদের সকলের জন্মের কারণ এক। জীবনের বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার মধ্যে জীবন কাটিয়ে, যার যার আলাদা একান্ত পথ হেঁটে সেই এক কারণের উপসংহারে পৌঁছি আমরা। যার মনে থাকে জীবনের আকাঙ্খা সে সমাধানে আসতে পারে না। পরম শান্তিও তার জোটে না। আর যে তুষ্ট হয়, যার মনে থাকে আরাধনা, পরম করুনাময়ের প্রতি বিশ্বাস। সে বিশ্বাসকে কায়েম রাখতে তার পথ যতই কষ্টকর হোক না কেন। সে পুরস্কৃত। পরম শান্তি তারই।