যা হয়ে গেছে তা বার বার ভাবতে নেই, যা পেয়েছেন তা হারাতে নেই, জীবনে সফলতা কেবল সেই হবে, যে সময় ও পরিস্থিতি দেখে কখনো কান্না করে না।
যারা আজ আপনাকে বিশ্বাস করে না, তারাই একদিন সবাইকে বলবে, যে সে আপনার সাথে কি ভাবে পরিচিত হয়েছিলো, কি রকমের ছিলো আপনাদের সম্পর্ক।
অনেক কঠিন সেই ব্যক্তিকে হারানো, যে চলাই শিখেছে অনেক স্ট্রাগেল করে।
যদি মনে করেন তাহলে প্রতিটি মুহুর্তেই অনন্দ আছে, তা না হলে চিন্তাতো প্রতিটি দিনই আছে, হাসুন একটি বাচ্চার মত করে, আর বাঁচুন একটি রাজার মত করে।
যে কাজ আপনাকে চ্যালেঞ্জ করে, মনে রাখবেন, সেই কাজই আপনাকে চ্যাঞ্জ করবে, এটা গুরুত্বপুর্ন নয় যে আপনার বয়স কত, গুরুত্বপুর্নতো হলো এটা যে আপনি কোন বয়সে কোন বয়সের মত চিন্তা করেন।
ঐ জায়গায় আপনি সব সময় চুপ থাকবেন, যেখানে দু’টাকার মানুষ নিজের অহংকার করে, কারণ আপনাকে এরা কখনো মূল্য দিবে না।
চেহারা কোন ক্রিম দিয়ে নয়, বরং আপনার সফলতাই আপনার চেহারা চমকে দিবে, প্রতিটি মানুষ তার কথার পিছনে লুকিয়ে থাকে, তাই যদি কাওকে বুঝতে চান তাহলে তাকে বলতে দিন, আর আপনি শুনুন।
জীবনকে সহজ নয়, নিজেকে শক্তিশালী তৈরী করো, তাহলে জীবন এমনিতেই সহজ হয়ে যাবে।
অার সঠিক সময় কখনোই আসে না, সময়কে সঠিক তৈরী করে নিতে হয়, জীবন আমাদের আয়নার মত, আপনি একবার হেসেতো দেখুন, সেও হাসবে।
কেবল মাত্রই যে উত্তীর্ণ হয় সেই নয়, বরং কুথায় হারতে হবে এটা যে যানে সেও বাদশাহ্।
সেখানে তুফানও হার মেনে নিতে বাদ্য হয়, যেখানো নৌকা যেদি হয়ে যায়।
পরিস্থিতি এমন হতে দিবেন না, যে আপনার বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায়, বরং বিশ্বাস এমন রাখুন যেন পরিস্থিতি বদলে যায়।
জীবনে যতি জয়ী হতে হয়, তাহলে একবার হেরে যাওয়া ও দরকার আছে, আর আজ পর্যন্ত যার যার উপর এই পৃথিবী হেসেছে, তারাই কেবল ইতিহাস তৈরী করেছে, প্রতিটি তিনের ছোট্ট ছোট্ট সফলতা একদিন আপনাকে আপনার বড় লক্ষকে আপনার পূরণ করে দিবে।
আজকের এই সময়টা কেবল মাত্র আপনারই, আপনি চাইলে একে সোনা তৈরী করতে পারেন, আবার চাইলে একে শুয়েই কাটাতে পারেন।
হাজারো কষ্ট আমার অব্যেশ বদলাতে পারবে না, কি করবো আমার অব্যেশ হয়ে গেছে সব সময় হাসার।
আপনি আপনার কাজকে করার জন্য যদি বেশি কঠোর হতে পারেন, জীবন আপনার জন্য ততবেশি সহজ হবে। আর আপনি আপনার কাজকে যত বেশি অবহেলা করবেন, জীবন ততবেশি কঠিন হয়ে যাবে।
নিজেকে সফল করার জন্য এতবেশি সময় দিন, যাতে অন্য কারো জন্য খারাফ বলার সময়ই না তাকে।
যদি ভাগ্য আপনার সাথে নেই, তাহলে বুঝে নিবেন পরিশ্রমের অভাব আছে।
যারা কঠোর পরিশ্রমী, সৃষ্টিকর্তা তাদের সহায়তা করেন। পরিশ্রমহীন ব্যক্তিদের পরিণতি অতীব করুণ হয়। প্রবাদ আছে-অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারাখানা। পরিশ্রমহীন মানুষেরা সকলের কাছে নির্গৃহীত হয়। কোন কাজে সফলতা লাভ করতে না পেরে সমাজের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়। তাই সফলতার পথে এগিয়ে যেতে আমাদের কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে।
জীবনে অর্থ, বিদ্যা, যশ, প্রতিপত্তি অর্জন করতে হলে তার জন্যে পরিশ্রম করতে হয়। কর্মসাধনার মাধ্যমেই জীবনে সফলতার স্বর্ণদুয়ারে পৌঁছানো সম্ভব। জাতীয় জীবনেও এই সত্যের ব্যত্যয় হয় না। যে জাতি পরিশ্রমী নয় সে জাতিকে উন্নতি ও অগ্রগতির ধারা থেকে ছিটকে পড়তে হয় অনেক পেছনে। মহামানবদের জীবন পাতার দিকে তাকালেও এই সত্যই উদ্ভাসিত হয় যে, অক্লান্ত শ্রমসাধনার মাধ্যমেই তাঁরা জীবনে সাফল্য অর্জন করেছেন। এঁদের অনেকেই খুব সামান্য অবস্থা থেকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন নিরলস শ্রমসাধনার সাহায্যে। শ্রমের প্রতি নিবেদিত প্রাণ মানুষেই আসলে হতে পারে জীবনের সফল সৈনিক। ব্যক্তি ও জাতির জীবনে পরিশ্রমই নিশ্চিত করতে পারে সৌভাগ্যের হিরন্ময় সকাল।
ভালো বই আর ভালো মানুষ দ্রুত বু্ঝা যায় না,
এদের ভালো ভাবে পড়তে হয়।
আমার লক্ষ অনেক যেদি, লক্ষের রাস্তাও অনেক যেদি, এখন দেখা যাক কে জিতে।
কারণ, আমিও অনেক যেদি।
লেখক,
এম এইচ হোসাইন।