• ২৪শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১০ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে সাজাভোগ শেষে ৪২ বাংলাদেশীর প্রত্যাবর্তন

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত নভেম্বর ৩, ২০২০
ভারতে সাজাভোগ শেষে ৪২ বাংলাদেশীর প্রত্যাবর্তন

স্টাফ রিপোর্টার :: বড়লেখার ২ যুবকসহ ৪২ বাংলাদেশী ভারতের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে (কারাগার) সাজাভোগের পর দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন বয়সী নারী, পুরুষ ও শিশু। যাদের সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বছরের পর বছর ভারতের বিভিন্ন কারাগারে বন্দী ছিলেন।

২ নভেম্বর সোমবার বিকেলে বিয়ানীবাজারের শেওলা সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ ও ভারতীয় সীমান্ত পুলিশ তাদেরকে বিজিবি ও ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। ৩০ বছর পর ছেলের সাথে দেশে প্রত্যাবর্তনকারী বাবার দেখা হলে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আসামের গোহাটিস্থ বাংলাদেশ দুতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার তানভীর মনসুর রনি ও মৌলভীবাজারের সমাজকর্মী অমলেন্দু কুমার দাসের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় ভারতের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে থাকা সাজার মেয়াদ শেষ হওয়া এসব বন্দীরা তাদের পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরে এসেছে।

বিয়ানীবাজার বিজিবি ও ইমিগ্রেশন পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, দেশে প্রত্যাবর্তনকারীদের মধ্যে রয়েছেন পিরোজপুর জেলার ৪ পরিবারেরই ১৬ জন, বাঘেরহাটের ৩ জন, চট্টগ্রামের ৬ জন, মৌলভীবাজার ও সিলেটের ৭ জন, দিনাজপুরের ১ জন, গোপালগঞ্জের ১জন, নোয়াখালীর ১ জন, কুমিল্লার ১ জনসহ মোট ৪২ জন নারী, পুরুষ ও শিশু।

বিকেল ৪ টায় বিএসএফ ও ভারতীয় সীমান্ত পুলিশ বিয়ানীবাজার বিজিবি, থানা পুলিশ ও শেওলা ইমিগ্রেশন পুলিশের নিটক প্রত্যাবর্তনকারী বাংলাদেশীদের হস্তান্তর করেছে। এসময় করিমগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মায়াঙ্ক কুমার, বিয়ানীবাজার থানার ওসি কল্লোল রায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও ভারতের কারাগারে সাজাভোগী বাংলাদেশীদের দেশে প্রত্যাবর্তন কাজের সমন্বয়কারী সমাজকর্মী অমলেন্দু কুমার দাস, শেওলা ইমিগ্রেশন পুলিশ চোকপোস্টের ইনচার্জ এসআই আবুল কালাম, বিজিবি বড়গ্রাম ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার জসিম উদ্দিন, বিয়ানীবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ নয়ন কুমার মল্লিক প্রমুখ উপিস্থিত ছিলেন।

কুমিল্লার লাঙ্গলকোট থানার মন্তাজ মিয়া ৩০ বছর আগে ভারতে নিখোঁজ হন। পরিবারের লোকজন ধরেই নিয়েছিল তিনি আর জীবিত নেই। আসামের গোহাটীর বাংলাদেশ দুতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার তানভীর মনসুর রনি ও মৌলভীবাজারের সমাজকর্মী অমলেন্দু কুমার দাসের তৎপরতায় তার সন্ধান পায় পরিবার। তাকে নিতে শেওলা সীমান্তে আসেন তার ৩১ বৎসরের যুবক ছেলে আমির হোসেন। ৩০ বছর পর ছেলেকে পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মন্তাজ মিয়া (৬৬)। এসময় শেওলা চেকপোষ্টে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

শেওলা চেকপোষ্টের ইনচার্জ এসআই আবুল কালাম জানান, ভারত থেকে সাজাভোগের পর ৪২ জন বাংলাদেশী তার চেকপোষ্ট এলাকা দিয়ে সোমবার বিকেলে দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তাদের স্বজনরা তাদেরকে নিতে পূর্ব থেকেই অপেক্ষা করছিলেন। মেডিকেল টেষ্টসহ প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে স্বজনদের নিকট প্রত্যাবর্তনকারীদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

সিরাজুল ইসলাম / দৈনিক হাকালুকি

March 2025
S S M T W T F
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031