বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর ইতিহাসে ঘটে যাওয়া মহামারীসমূহ কেবল এককালীন ক্ষতি করেই ক্ষান্ত হয়নি। একদিকে যেমন নিয়ে গিয়েছে অজস্র প্রাণ, তেমনই রেখে গিয়েছে সভ্যতার নানা পরিবর্তন। অর্থনৈতিক, সামাজিক, কৃষি ব্যবস্থাপনা সব ক্ষেত্রেই কিছু না কিছু পরিবর্তন রেখে যায় মহামারীসমূহ। এর প্রভাবে কখনও পুরো পৃথিবীর অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, আবার কখনও একটি দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে আর্থসামাজিক ব্যবস্থাপনা সবকিছুরই চেহারা পাল্টে দিয়েছে।”মহামারীর অতীত বর্তমান” এর শেষ পর্বে জানবো আর কিছু মহামারী ইতিহাস……
১৮৫৫ সালে বুবোনিক প্লেগ চীনের ইউনান প্রদেশে ছড়িয়ে পড়ে।হংকং ভারতে ধ্বংসযোগ্য চালায় প্লেগ।ভারতে যা আকার নিয়েছে মারাত্মক। যাতে প্রান হারায় ১.৫০ কোটি মানুষ। প্লেট উপলক্ষ হিসেবে নিয়ে ব্রিটিশ শাসকের শুরু করে নিপীড়ন ও বিদ্রোহ।
১৯১৬ সাল: দ্য পোলিও এপিডেমিক অব আমেরিকা ১৯১৬ সালে পোলিও রোগ প্রথম মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। সেবছর নিউইয়র্কে ৯ হাজার মানুষ পোলিওতে আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে ৬ হাজার মানুষই মৃত্যুবরণ করে! ১৯৫০ সালে জোনাস সাল্ক পোলিও টিকা আবিষ্কার হয়।
১৯১৮ সাল: দ্য ইনফ্লুয়েঞ্জা প্যানডেমিক বা দ্য গ্রেট ফ্লু প্যানডেমিকনানা কারণে আলোচিত বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ ছিল আক্ষরিক অর্থে হত্যা আর প্রাণহানীতে পূর্ণ। ১৯১৮ সালের নভেম্বরে যখন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেছে, রক্তস্রোত দেখতে দেখতে ক্লান্ত বিশ্ববাসী যখন পরিত্রাণের আশায় মুক্তির নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে, তখন তাদের নীরবে শুরু হয়ে গিয়েছিল আরেক মৃত্যুর মিছিল। যাতে প্রায় ১ কোটিরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায়।
১৯৭০ সালে ভারতে হঠাৎ মহামারী আকারে ছড়িয়ে যায় গুটি বসন্ত। ১ লক্ষাধিক মানুষ রাতারাতি এ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এক বছরেই মৃত্যুবরণ করে ২০ হাজারের বেশি মানুষ
১৯৮৪ সাল: এইচআইভি ভাইরাসপ্রথম এইচআইভি ভাইরাস শনাক্ত হয় ১৯৮৪ সালে। এ ভাইরাসের কারণে এইডস রোগে সে বছরই আমেরিকায় মারা যায় ৫,৫০০ জন। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ৩৫ মিলিয়ন মানুষ এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত।
২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লু বা এইচ ওয়ান এন ওয়ান ফ্লুতে ১৮,৫০০ জন মারা গেছে বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। তবে এ রোগে মৃত্যুর সংখ্যা ৫ লাখ ৭৫ হাজার বলেও ধারণা করা হয়।
২০১০ সাল: কলেরা এপিডেমিক অব হাইতিহাইতিতে ২০১০ সালে ভয়ঙ্কর এক ভূমিকম্পের পর কলেরা মহামারী রূপ নিলে ১০ হাজার মানুষ মারা যায়।
২০১২ সাল: হামবিশ্বজুড়ে ২০১২ সালে ভাইরাসজনিত রোগ হামে মারা যায় ১ লাখ ২২ হাজার মানুষ। সে বছর পুরো বিশ্বে ব্যাকটেরিয়া সংক্রামক রোগ টিউবারকিউলোসিসে মারা যায় ১.৩ মিলিয়ন মানুষ। এছাড়া প্রতিবছর টাইফয়েড জ্বরে মারা যাচ্ছে ২ লাখ ১৬ হাজার মানুষ।
২০১৪ সাল: ইবোলা এপিডেমিকপশ্চিম আফ্রিকায় ২০১৪ সালে ইবোলা জ্বরে মারা যায় অন্তত ১১,৩০০ জন।
২০২০ সাল: কোভিড-১৯ প্যানডেমিকএখনো পর্যন্ত চলমান……..