রিপোর্ট: রাজীব-তাজ
“আমরা আপনার স্বপ্ন পূরণ করি”- এই মায়াবী স্লোগান সামনে রেখে ক্রেতাদেরকে তাদের বহুল আরাধ্য ও পরম প্রত্যাশিত আবাসন হাতে তুলে দিচ্ছে হেরিটেজ লিমিটেড। ২০১৮ সাল থেকে আবাসন ব্যবসা শুরু করে হেরিটেজ। রিহ্যাব সদস্যপদ লাভ করে ২০২১ সালে। দেশের আবাসন ব্যবসা খাতের বৃহত্তম প্রদর্শনী রিহ্যাব মেলায় ২০২২ সাল থেকে অংশ নিচ্ছে হেরিটেজ আসেটস্।গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত রিহ্যাব মেলাতেও অংশ নিয়ে হাজারো দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয় হেরিটেজের স্টল। ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ এর অধিক আবাসিক প্রজেক্ট কাজ সফল ভাবে হস্তান্তর ও সমাপ্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। রাজধানী ঢাকার উত্তর শাহজাহানপুরে প্রায় ত্রিশটি প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করেছে হেরিটেজ, যা একটি এলাকায় এক প্রকার রেকর্ড! শান্তিনগরে ৪ টি প্রজেক্ট হস্তান্তর হয়েছে, একটি শেষের দিকে। এই এলাকার পপুলার-২ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ভবনও হেরিটেজের করা। এছাড়াও, শহীদবাগ, মোমিনবাগ এবং সিদ্ধেশ্বরীতে হেরিটেজের আবাসিক প্রজেক্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে এয়ারপোর্ট প্লাজা নামে আশকোনাতে ৪৩ কাঠা জায়গার উপর ১৭৫ টি ফ্ল্যাট সম্বলিত মোট আড়াই লাখ বর্গফুটের একটি সুপরিসর কনডো নির্মাণ করেছে হেরিটেজ আসেটস। আবার, ঢাকার অদূরে আসন্ন জীবনের সব সুবিধা-সম্পন্ন নব্য আধুনিক সিটি জলসিড়ি প্রজেক্টে ৬ টি বিলাসবহুল আবাসিক প্রকল্প করার চুক্তি সাক্ষর করেছে হেরিটেজ অ্যাসেটস্ লিমিটেড। প্রবল বিক্রমে এগিয়ে চলছে তাদের কার্যক্রম।
প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজমুল হক আবাসন শিল্পের উন্নয়ন এবং ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেদের অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু মূল্যবান বাণী দিয়েছেন। তিনি জানান: “বিদেশের মত উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োগ বাংলাদেশে ঘটাতে পারলে আমরা রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানগুলো আরও ভাল কাজ উপহার দিতে পারতাম। উন্নত দেশ যেমন দুবাইতে ব্লক ইট ব্যবহার করা হয়। এসব চর্চা আমাদের দেশে শুরু হওয়া দরকার। তবে আমরা প্রযুক্তির ব্যবহার ও প্রয়োগে খুব সচেতন। ইতিমধ্যে ছাদে অত্যাধুনিক পরিবেশ বান্ধব ও তাপবান্ধব প্রযুক্তির ইট ব্যবহার করে একটি প্রজেক্ট আমরা শুরু করেছি। এর ফলে অতিরিক্ত গরম বা অত্যধিক তাপ রোধ হবে এবং ঠান্ডা ধরে রাখবে৷” তিনি আরও জানান- “বাংলাদেশে কাচামালের দাম সহনীয় নয় এবং সিন্ডিকেট প্রথা রয়েছে। ডলারের বিপরীতে মুদ্রামান দিনকে দিন কমছে। কিন্তু গত মাসে যখন দুবাই গেলাম, সেখানে দেখলাম দিরহামের বিপরীতে ডলারের মান বেশ স্থির৷ ফলত, আমাদের দেশে উন্নত র-ম্যাটেরিয়াল বাজেট মূল্যে দিতে হিমশিম খেতে হয়। আবাসন খাত একটি বড় চেইন সিস্টেম খাত। একটি দালান গড়ে তুলতে ৩০০ এর বেশী উপকরণ প্রকারভেদ লাগে। তাই আস্থার জায়গা ধরে রাখতে না পারলে যে কোন আবাসন প্রতিষ্ঠান এসে সহজে টিকতে পারবে না। এজন্য রিহ্যাব এরও উচিৎ সদস্যপদ দেওয়ার সময় খুব যাচাই-বাছাই করে নেওয়া। ইদানীং আবার প্লট ও ফ্ল্যাটে শেয়ার বিনিয়োগ মালিকানা ধারা শুরু হয়েছে। তবে আমার মনে হয় এই ধারার ব্যবসাতে কিছু গলদ আছে। এগুলো রাজউক ও রিহ্যাব এর কঠোর মনিটরিং এর আওতায় আনলে ভালো হয়। ব্যবসা বান্ধব নীতিমালা ও ড্যাপ এর আধুনিক সময় উপযোগী সংস্কার খুব জরুরী। অন্যথায় আবাসন ব্যবসায়ীদের টিকে থাকাই দায় হয়ে যাবে।” হেরিটেজের বর্তমান অবস্থান নিয়ে নাজমুল হক জানান- ” ক্রেতা সন্তুষ্টি আমাদের মূল লক্ষ্য। এমনও হয়েছে আমাদের প্রজেক্ট প্রস্তুত, টাইলস ক্রেতা পছন্দমত টাইলস দেবে, সে অপেক্ষায় আমাদের বসে থাকতে হয়। এ এক মধুর বিড়ম্বনা! যেখানে রিয়েল এস্টেট কোম্পানীর পেছনে ঘোরে ক্রেতা, সেখানে আমাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি একদম উল্টো। যথাসময়ে প্রকল্প হস্তান্তর এবং প্রতিশ্রুত কাচামাল ব্যবহার করে উন্নতমানের ফ্ল্যাট, এপার্টমেন্ট ও বিল্ডিং করে দেওয়াই হেরিটেজের ধ্যান-জ্ঞান। সেভাবেই এগিয়ে চলছি আমরা।”
হেরিটেজের প্রজেক্ট সম্বন্ধে বিস্তারিত জানার জন্য এর ওয়েবসাইট দ্রষ্টব্য। অফিস ঠিকানা- ২৯, রাজউক এভিনিউ (দৈনিক বাংলা মোড়ের সাম্মুখে), সরকার ম্যানশন, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা।