• ২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-২৬

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৪, ২০২৫
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-২৬

শহীদ হাবিলদার মোঃ আব্দুল বারী, বীর প্রতীক (তৎকালীন ইউনিট ২ ই বেংগল)

নম্বর ৩৯৪৬৬৮৬ শহীদ হাবিলদার মোঃ আব্দুল বারী, বীর প্রতীক, পার্বত্য চট্টগ্রামে ২ ইস্ট বেঙ্গল (জুনিয়র টাইগার্স) এর সাথে ১৯৮৯ সালে তৎকালীন মানিকছড়ি জোনে কর্মরত ছিলেন। গত ৩ অক্টোবর ১৯৮৯ তারিখে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার লামাছড়ি এলাকায় সশস্ত্র শান্তিবাহিনী সদস্যদের উপর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ মোঃ সুলতান উদ্দিন ইকবাল এর নেতৃত্বে একটি দুঃসাহসিক অ্যামবুশ পরিচালনা করা হয়। হাবিলদার বারী অপারেশন দলের একটি উপদলে স্কাউট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। শান্তিবাহিনীর সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল অ্যামবুশ এলাকায় উপস্থিত হলে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে গুলিবর্ষণ শুরু করে। প্রতিউত্তরে সেনাবাহিনীর টহল দল পাল্টা গুলি বর্ষন করে। গুলিবর্ষণ এর মাঝে সন্ত্রাসী দলের এক সদস্য দৌড়ে পালাবার চেষ্টা করলে তৎক্ষণাৎ হাবিলদার বারী তাকে ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে তিনি মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায়ও হাবিলদার বারী পলায়নের চেষ্টারত সন্ত্রাসী দলের সদস্যকে গুলি করে ধরাশায়ী করেন।

অপারেশন শেষে তাকে উদ্ধার করে জরুরী ভিত্তিতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে প্রেরণকালে তিনি উপস্থিত ক্যাপ্টেন মোজাম্মেলকে বলেন “স্যার কি হবে আর কষ্ট করে, আপনি আমাকে কষ্ট করে নিয়ে যাবেন, শেষ পর্যন্ত কোন ফল হবে না। আমার পরিবার এবং ছেলে,মেয়েকে আপনাদের হাতে সপে গেলাম। ওদেরকে দেখবেন স্যার”। এরপর পরপরই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। অভিযানের প্রথম থেকে তাঁর শেষ নিশ্বাস ত্যাগ পর্যন্ত তিনি কর্তব্যপরায়নতার যে স্বাক্ষর রেখেছেন তা পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর অভিযানিক ইতিহাসে গর্বের সাথে স্মরণীয়।

হাবিলদার বারী, তার অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ‘বীর প্রতীক’ খেতাবে ভূষিত হন।

January 2025
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031